কুয়েতে যে কোনো ধরনের ব্যবসার বিশেষ লাইসেন্স বাগিয়ে নেন এমপি পাপুল

কুয়েতে যে কোনো ধরনের ব্যবসার বিশেষ লাইসেন্স বাগিয়ে নেন এমপি পাপুল

অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদশের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল এখন কুয়েতের কারাগারে রয়েছেন। তার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে আসছে।স্বল্প সময়ে দ্রুত টাকার কুমিরে পরিণত হওয়া এই রাজনীতিক কুয়েতে যেকোনো ধরণের ব্যবসা করতে পারতেন। সেই ধরনের লাইসেন্স তিনি বাগিয়ে নিয়েছিলেন।

উপসাগরীয় দেশটির আল-কাবাস পত্রিকার বরাতে গালফ নিউজের খবরে বলা হয়, ‘জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড কনট্রাক্টিং’ নামে লাইসেন্স ছিল পাপুলের, যার মাধ্যমে শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে অ্যানটিক কার্পেটের ব্যবসাও তিনি করতে পারতেন।

আল-কাবাসের প্রতিবেদন বলছে, এই লাইসেন্সের মাধ্যমে কেবল সরকারি পরিচ্ছন্নতা কাজ নয়, নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক কাজ থেকে শুরু করে কৃষি ও গাড়ি ভাড়ার কাজেরও সুযোগ ছিল পাপুলের।

সরকারি কাজের আড়ালে পাপুল আইনি বাধা ছাড়াই বেশি বেশি শ্রমিক নিতে পারতেন।

পত্রিকাটি আরও লিখেছে, স্বর্ণ ও কার্পেট ব্যবসায়ে যুক্ত হওয়ার কারণে অবৈধভাবে শ্রমিক আনার অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে এতদিন কোনো ধরনের সন্দেহের মুখোমুখি হননি তিনি।

পরিচ্ছন্নতাকর্মী আনার ক্ষেত্রেও পাপুলের অপরাধের ইঙ্গিত দিয়ে লিখেছে আল-কাবাস। যেখানে ১০০ লোকের জায়গায় ৫০০ লোক নেওয়ার অভিযোগের কথা বলা হয় সেখানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার শ্রমিক নিয়েছেন পাপুল, যাতে ৫০ মিলিয়ন কুয়েতি দিনারের লেনদেন হয়েছে।

পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৬ জুন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলকে গ্রেফতার করে সে দেশের পুলিশ।

পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে সে দেশের আইনে তার পাঁচ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে।

শ্রমিক হিসাবে কুয়েত গিয়ে কোটিপতি বনে যাওয়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এমজে/