মাস্ক-পিপিইসহ সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতি: কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে দুদকের চিঠি

মাস্ক-পিপিইসহ সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতি: কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে দুদকের চিঠি

মাস্ক-পিপিইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অনুসন্ধানে বিল-ভাউচারসহ রেকর্ডপত্র চেয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর সই করা জরুরি পত্রে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাসপাতালের কাছে রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ৯ আগস্ট করোনাকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের আরো একটি অভিযোগ অনুসন্ধানে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের বেশকিছু নথিপত্র তলব করেছিল দুদক।

দুদক সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা ও সরবরাহ, চিকিৎসকদের হোটেলে থাকা-খাওয়ার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের স্বার্থে এসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।

চাহিদাকৃত রেকর্ডপত্রের মধ্যে রয়েছে- ২০২০ সালের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যেসব স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজার ও অন্যান্য দ্রব্য) এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হয়েছে তার আইটেমভিত্তিক বিবরণ, ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা, ক্রয় কমিটির তথ্য এবং বর্ণিত স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা সংক্রান্ত নথি ও নোটশিটের সত্যায়িত ফটোকপি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কী পরিমাণ বিল পরিশোধ করা হয়েছে তার তথ্য এবং কী পরিমাণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম বর্তমানে মজুত রয়েছে তার তথ্য। কোভিডকালীন চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হোটেলে রাখার ক্ষেত্রে হোটেলের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, হোটেলে অবস্থানকারীদের তালিকা (হোটেল ভিত্তিক), হোটেল ভাড়া ও খাবার বাবদ পরিশোধকৃত বিলের তথ্য এবং নোটশিটসহ সংশ্লিষ্ট নথির ফটোকপি।

ডা. সোহেলী পারভীন ও ডা. মামুনুর রশীদের ব্যাক ডেটে স্বাক্ষর দেওয়া বিল-ভাউচারও চাওয়া হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।