সোনামসজিদ বন্দরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি, ঘাটতি ৩৭ কোটি টাকা

সোনামসজিদ বন্দরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি, ঘাটতি ৩৭ কোটি টাকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। কিন্তু রাজস্ব আয় হয়েছে ৪০ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৭ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা রাজস্ব আয় কম হয়েছে।

রাজস্ব আয় কম হওয়ার কারণে জানতে চাইলে সোনামসজিদ কাস্টমস, আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শ্রমিক সমন্বয় ও পানামার নেতারা একবাক্যে জানান, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে গেছে। যে কারণে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে অর্থবছরে প্রথম থেকেই আমদানি-রফতানি কম হওয়ার কারণে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

এ ছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানিকৃত পণ্যে শতভাগ রাজস্ব আদায় করার কারণে কিছু কিছু ফল আমদানিকারক অন্যবন্দর দিয়ে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় ওই সব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করে।

সব স্থলবন্দরে সরকারের একই নিয়মে রাজস্ব আদায় করা হলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হবে। এ ছাড়া রাজস্ব আয় ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক গুণ বেশি হবে বলে জানান সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম বাবু।

তিনি আরও জানান, কোনো কোনো বন্দরে সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা ওই সব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করেছে। এ ছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পাথর আমদানির ক্ষেত্রেও মাঝেমধ্যেই জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে আমদানি বন্ধ থাকে। আর সে কারণেও রাজস্ব আয় অর্জিত হয়নি।

এমজে/