ইউএনও’র উপর হামলা: রিমান্ড শেষে নবীরুল-সান্টু কারাগারে

ইউএনও’র উপর হামলা: রিমান্ড শেষে নবীরুল-সান্টু কারাগারে

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড পাওয়া দুই আসামি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমারকে আদালতে সোপর্দ করেছে ডিবি পুলিশ।

সাত দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বিকালে তাদেরকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে নতুন করে আর তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়নি।

দিনাজপুর আদালত পুলিশ পরিদর্শক ইসরাইল হোসেন বলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার আসামি সান্টু কুমার ও নবীরুল ইসলামকে রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থিত করা হয়। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আপাতত নতুন কোনও আবেদন নেই। রিমান্ডে থাকা এই মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামকে আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসামি রিমান্ডে আছে, রিমান্ড শেষ হলেই চলে আসবে।

এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফর বলেন, আসামিদের সবার রিমান্ড এখনও শেষ হয়নি। রিমান্ডে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না। তবে রিমান্ড শেষে সব বিষয়ে জানানো হবে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার তিন জনের মধ্যে দুই আসামি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমারকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন রাতেই তাদের নিজ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ডিবি। এদিকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসাদুল ইসলামকে গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। সেই হিসেবে শনিবার তারও রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা। তবে তাকে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নাকি রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আদালতে তোলা হবে তা এখনও জানা যায়নি।

একটি সূত্রে জানা গেছে, ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনায় গত কয়েকদিনে ২৫ জনের বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। যাদের মধ্যে পাঁচ জন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া যুবলীগের চার নেতা ও আওয়ামী লীগের একজন নেতার মধ্যে সর্বশেষ আটক ঘোড়াঘাট পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ওয়াকার আহমেদ নান্নু ও পালশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম ওরফে ময়নুল মাস্টার এখনও আটক আছেন।

আর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, সিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানাকে। আর অপর যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলামকে হামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে র‌্যাব। শুক্রবারও মোত্তালিব, হুমায়ুন কবীর, শাহীন হোসেন ও লালমিয়া নামে চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এমজে/