ভারতে পালাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষক সাইফুর

ভারতে পালাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ নেতা ধর্ষক সাইফুর

সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার প্রধান আসামী সাইফুর রহমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে মুখের দাড়ি কেটে ছদ্মবেশ ধারণ করেও তার শেষ রক্ষা হয়নি।

রবিবার ভোরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার সীমান্তবর্তী এলাকা এজটি খেয়াঘাট থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ ও জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় ছাতক থানার পুলিশ অফিসার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্ব ছাতক শহরের একটি খেয়াঘাট থেকে ছাএলীগ নেতা ধর্ষক সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করে। সাইফুর সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে।

এদিকে, ধর্ষক সাইফুরকে ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ছাতক থানা পুলিশ।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সাইফুর গ্রেফতার এড়াতে তার মুখের দাঁড়ি কেটে ফেলে। সে সীমান্ত পথ ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গ্রেপ্তারের পর সাইফুর পুলিশের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। প্রাথমিকভাবে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ৬ ছাএলীগ নেতা।

এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী তরুণীর স্বামী।

মামলার আসামিরা হলেন এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।