আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের অনাগ্রহ

আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের অনাগ্রহ

প্রশ্নবিদ্ধ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ফলে সংসদীয় কার্যক্রমে বিশেষত আইন প্রণয়ন, বাজেট প্রণয়ন এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে একচ্ছত্র ক্ষমতার চর্চা আরও জোরদার হয়েছে।

বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ: একাদশ জাতীয় সংসদ-প্রথম থেকে পঞ্চম অধিবেশন (জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০১৯)’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন মহাজোটের একটি দল নিয়মরক্ষার প্রধান বিরোধী দল হওয়ায় সরকারের জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় তাদের জোরালো ভূমিকার ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে।

সংসদীয় কার্যক্রমে আইন প্রণয়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলেও আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংসদ সদস্যদের কম অংশগ্রহণ, অনাগ্রহ ও দক্ষতার ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অধিকাংশ সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কার্যকর জবাবদিহি করার ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল। সংসদীয় উন্মুক্ততার চর্চায় ঘাটতি রয়েছে, বিশেষ করে আইন প্রণয়নসহ অন্যান্য সংসদীয় কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের উদ্যোগ দেখা যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংসদের কার্যক্রম পরিচালনা এবং প্রমাণসহ অভিযোগ থাকলেও সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে স্পিকারের জোরালো ভূমিকার ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সংসদে আলোচনার ক্ষেত্র এখনো সন্তোষজনক নয়। সার্বিকভাবে, একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম পাঁচটি অধিবেশন আইন প্রণয়ন, জনগণের প্রতিনিধিত্ব ও সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর ছিল না।

এমজে/