গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে সংঘবদ্ধভাবে নির্যাতন, নিন্দার ঝড় চারদিকে

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে সংঘবদ্ধভাবে নির্যাতন, নিন্দার ঝড় চারদিকে

নোয়াখালীতে এক গৃহবধূকে দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিবস্ত্র করে মুখমণ্ডলে লাথি মারাসহ মারধরের ভিডিও ফেসবুকে প্রচার হবার পর চারদিকে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

অভিযোগ উঠেছে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়খালের পাশে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিমসহ ৫ তরুণ ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ঘটনায় রবিবার আবদুর রহিম (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশের ৫টি ইউনিট অন্য বখাটেদের ধরতে অভিযানে নেমেছে।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানিয়েছে, খালপাড় এলাকার একটি বাড়িতে ২০/২৫ দিন আগে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই ভিডিও আজ রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ওই গৃহবধূ নিজেকে রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। কিন্তু নির্যাতনকারীরা তার পোশাক কেড়ে নিয়ে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে হামলাকারী কিশোরদের ‘বাবা’ বলে ডাকেন এবং তাদের পায়ে ধরেন। এরপরও তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং এক যুবক কয়েকবার তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। দুর্বৃত্তরা তার নগ্ন ছবি ধারণের চেষ্টাও চালায়। একজন হাত উঁচিয়ে ইন্ধন জোগায়। আরেকজন তার শরীরে থাকা অবশিষ্ট পোশাকও টেনে নেয়। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবে বলে উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।

বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নজরে আসে। এরপর এ বিষয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি।

থানা সূত্র আরও জানায়, পুলিশ আজ ভিকটিম ওই নারীকে তার বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করে। তিনি পুলিশকে জানান, ২০/২৫ দিন আগে এ ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবদুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।