ঢাকা-৫: কারচুপির অভিযোগ এনে পুনঃনির্বাচনের দাবি বিএনপি প্রার্থীর

ঢাকা-৫: কারচুপির অভিযোগ এনে পুনঃনির্বাচনের দাবি বিএনপি প্রার্থীর

ভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট প্রত্যাখান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহম্মেদ। একই সঙ্গে তিনি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেন।

পাশাপাশি অনিয়মের প্রতিবাদে রবিবার দুপুর দুইটায় নির্বাচনী এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় নিজের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি এই নির্বাচনের প্রথম দিন থেকে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। এমনকি আমি মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছি সেখানেও আমাকে বাধা দেয়া হয়েছে। আমারতো জন্মগত অধিকার এ এলাকার কোনো মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া এবং তাদের কাছে ভোট চাওয়া, দোয়া চাওয়া। কিন্তু সেটাও আমাকে করতে দেয়া হয়নি। আমরা যখনি গণসংযোগে গিয়েছি জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে এবং তখনই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করেছে। আপনারা দেখেছেন দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দুই নারী এজেন্ট বোনকে অপদস্ত করে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরকে মিশন চৌধুরী স্কু্লে আমাদের আরেক নারী এজেন্টের ওপর হামলা করে বের করে দেয়া হয়েছে। এমনকি তার গায়েও হাত দেয়া হয়েছে।

এ সময় প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রতি অভিযোগ তুলে বিএনপি প্রার্থী বলেন, প্রায় সব কেন্দ্রেই আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকেছে তাদেরও বের করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমরা নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার অবহিত করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তাই আপনাদের মাধ্যমে আমরা এ অনিয়মে জর্জরিত অবৈধ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন ও যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ভাণ্ডারীসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।