ফেনীতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

ফেনীতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

ফেনীতে বেড়াতে আসা এক উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে শহরের অদূরে দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিকশাচালক মো. রিয়াজ (২৬) ও সেলুন কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীলকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার রিয়াজ লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানার জগবন্ধু গ্রামের মো. ছাদেকের ছেলে ও ছোটন চন্দ্র শীল চট্টগ্রাম জেলার সীতাকু- উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের সমীর চন্দ্র শীলের ছেলে। নির্যাতিতা ওই তরুণীর বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলায়।

নির্যাতিতা তরুণীর বরাত দিয়ে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, খাগড়াছড়ি থেকে রোববার রাতে ফেনীতে এক বান্ধবীর কাছে বেড়াতে আসে ওই তরুণী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় রাত ১১টার দিকে বাস থেকে নেমে রিক্সায় ওঠে ফেনী শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন রিক্সাচালক মো. রিয়াদ তাকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে শহরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় নির্জন একটি ডেকোরেশন দোকানের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে সালাহউদ্দিন মোড় সংলগ্ন কাঠবেল্লা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে রিক্সাচালক রিয়াদ পালিয়ে যায়।

রাত সাড়ে ৩টার দিকে ছোটন শীল নামে একজন সেলুন দোকান কর্মচারী ওই তরুণীকে তার বান্ধবীর কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ফতেহপুর সড়কের একটি দোকান ঘরে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে।

ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে টহলরত পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে ওই তরুণী তাকে ধর্ষণের ঘটনা পুলিশকে জানায়। পুলিশ তখন ছোটন শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে মেয়েটির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অপর ধর্ষক রিক্সাচালককে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালায়। সোমবার দুপুরে মেয়েটি বাদী হয়ে দুই জনকে আসামী করে মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে দেয়ানগঞ্জের একটি মেস থেকে রিক্সাচালক রিয়াজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, সোমবার রাতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। একই সাথে আদালতে তরুণীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।

এমজে/