বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ভারী বৃষ্টির বার্তা নিয়ে এই বায়ুচক্র পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কার কথা বলা হয়েছে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সেইসঙ্গে দেশের ছয়টি অঞ্চলের নদীবন্দরে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি এবং বাকি অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে বুধবার রাতে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। সেটি এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি আরও ঘনীভূত হবে। শুক্র-শনিবারের দিকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে কিনা, বা কোন দিকে অগ্রসর হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে শুক্রবার।
লঘুচাপের প্রভাবে বাংলাদেশেও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে বুধবার থেকে। আগামী এক দিনে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন।
বৃহস্পতিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগরে কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে ।
বৃষ্টির এই প্রবণতা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমে আসতে পারে। বৃহস্পতিবার সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এমজে/