আল্লামা শফিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, দাবি শ্যালকের

আল্লামা শফিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, দাবি শ্যালকের

হেফাজতের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে পাকিস্তানের দোসর জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফির শ্যালক মাওলানা মো. মঈন উদ্দিন। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মঈন উদ্দিন।

তিনি বলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে গত ১৮ই সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের দোসর জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। হযরতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি সমাধান না করে কাউন্সিলের মাধ্যমে হুজুরের হাতে গড়া অরাজনৈতিক কওমী সংগঠনকে পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবিরের ও বিএনপির হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত ১৬ই সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদরাসায় জামায়াতের লেলিয়ে দেয়া ক্যাডার বাহিনীকে ব্যবহার করে মাদরাসা অবরুদ্ধ করা হয়। আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরী মাদরাসায় অবস্থান করে মীর ইদ্রিছ, নাছির উদ্দিন মুনীর, মুফতি হারুন ইজহার, ইনামুল হাসান গংদের দিয়ে মাদরাসায় লুটতরাজ ও ভাঙচুর শুরু করে। এমনকি প্রকাশ্যে কোরআন-হাদিসে অগ্নিসংযোগ করে।

হযরতের খাস কামরায় ভাঙচুর চালানো হয়। হযরতকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।

তিনি বলেন, হামলায় হুজুর ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে অনেক কষ্টে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে বের করা হলেও অসুস্থ হযরতের অক্সিজেন লাইন বারবার খুলে দেয়ায় তিনি মৃত্যুর দিকে ঝুকে পড়েন। এছাড়া পরিকল্পিতভাবে তার এম্বুলেন্স আটকিয়ে হযরতকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়।

মঈন উদ্দিন বলেন, এশিয়ার প্রখ্যাত আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত হাটহাজারী মাদরাসা ও বাংলাদেশের কওমী মাদরাসার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি প্রকাশ্যে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য ও বই লিখেছেন। এ কারণে তার ওপর জামায়াত-শিবিরের ক্ষোভ ছিলো দীর্ঘদিনের। শাপলা চত্বরে জামায়াত-বিএনপির ফাঁদে পা না দেয়ায় তখন থেকেই শফী হুজুরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করার ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশে-বিদেশে অবস্থানরত কওমী মতাদর্শের আলেম ও ছাত্রদের হেফজতে ইসলামকে রক্ষার জন্য আহ্বান জানান।