কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু

কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৯জনের মৃত্যু হয়েছে।গত ৫৭ দিনের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু।

গত এক মাসে মৃত্যুর সংখ্যা ২৫ জন ছাড়ায়নি কখনোই।মঙ্গলবারই মৃত্যুর সংখ্যায় এই বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা গেলো।

এর আগে সর্বশেষ ২১শে সেপ্টেম্বর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২১২ জন।

গতকালই ৭০ দিনের মধ্যে প্রথম দুই হাজার ছাড়ায় শনাক্তের সংখ্যা। এর আগে সর্বশেষ সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছিল দোসরা সেপ্টেম্বর, ২ হাজার ৫৮২ জন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি ও ওয়েবসাইট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন ৬ হাজার ২৫৪ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৪ জন।

১৫ হাজার ৯৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে।

গত কয়েকমাস ধরে নতুন রোগী শনাক্তের হার ১১ শতাংশের ঘরে থাকলেও, এখন শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮৩।

বাংলাদেশে মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। মে, জুন, জুলাই মাস নাগাদ প্রতিদিন চার হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত আর ৩০-৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনা দেখা যায়। তবে পরবর্তীতে তা কমে আসে।

কিন্তু শীতের সময়ে করোনাভাইরাসের আরেক দফা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে বলে বেশ কিছুদিন ধরে সতর্ক করে দিচ্ছেন স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা।

গত বিশে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাংলাদেশে শীতকালে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়বে।

বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে কথা বলে যানা যাচ্ছে, ক্রমশই সেখানে রোগী সংখ্যা বাড়ছে। অনেক হাসপাতালেই রোগী ফেরত দেয়া হচ্ছে আসন সংকটের কারণে। সংকট তৈরি হয়েছে আইসিউ বিছানারও। সবাইকে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে জোর দেয়া হচ্ছে সরকারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

শীতপ্রধান অনেক দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় পুনরায় লক ডাউন ও কড়াকড়ি আরোপ করার ঘটনাও ঘটেছে।

বাংলাদেশেও শীতল আবহাওয়া দেখা দেখার সঙ্গে সঙ্গে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৭৪৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ জন।