ভাড়া চাওয়ায় বাড়িওয়ালার শিশুকন্যাকে গলা কেটে হত্যা, ভাড়াটিয়া দম্পতি আটক

ভাড়া চাওয়ায় বাড়িওয়ালার শিশুকন্যাকে গলা কেটে হত্যা, ভাড়াটিয়া দম্পতি আটক

বাসা ভাড়ার মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বকেয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাড়িওয়ালার শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাড়াটিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে। শিশু লিমু আক্তার লামিয়া (১০) উপজেলার সুত্রাপুর গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভাড়াটিয়া দম্পতি সুমন মিয়া (২৭) ও তার স্ত্রী মিলি বেগমকে (২০) আটক করা হয়েছে। ভাড়াটিয়া সুমন বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি (উত্তরপাড়া) গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শিশু লামিয়াকে না পেয়ে নিখোঁজ শিশুর পরিবারের সদস্যরা কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে অবগত করে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি চালাতে থাকে। কিন্তু খোঁজার ছলে অভিযুক্ত সুমন বাড়ির পাশের খালে নেমে শিশু লামিয়ার লাশের ওপর দাঁড়িয়ে স্বজনদের আশেপাশের বিভিন্নস্থানে খোঁজার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। এমন সময় তার সন্দেহজনক আচরণে স্বজনদের একজন সুমনের কাছে গিয়ে খালের পানিতে তার পায়ের নিচে শিশুর লাশ দেখতে পায়। স্থানীয়রা সুমনকে ধরে কালিয়াকৈর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে। নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুমন মিয়া প্রায় তিন মাস পূর্বে স্ত্রী মিলি বেগেমকে নিয়ে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা চুক্তি করে সাহেব আলীর বাসায় ভাড়া নেয়। দুই দিন আগে গত মাসের বকেয়া ভাড়ার টাকা নিয়ে তার সাথে বাড়ির মালিকের বাগবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটিয়া সুমন ও তার স্ত্রী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িওয়ালার শিশুকন্যা লামিয়াকে কৌশলে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে লাশ রাতের আঁধারে বাড়ির পাশে খালে ফেলে দেন।

কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, অভিযুক্ত দম্পতি সুমন ও মিলিকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

এমজে/