পদ্মা সেতুতে ব্যয় তিনগুণ বেড়েছে

পদ্মা সেতুতে ব্যয় তিনগুণ বেড়েছে

পদ্মা সেতু জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২২ সালের মার্চে। পদ্মা সেতু নির্মাণে শুরুতে ব্যয় ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা ধরা হলেও সর্বশেষ তা তিনগুণ বেড়ে আপাতত দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায়।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন, কয়েক দফা নকশা পরিবর্তনের ফলে সেতুর দৈর্ঘ্য বেড়েছে। এতে ব্যয় বেড়েছে। অপরদিকে শেষ দিকে সেতুর জন্য বাড়তি কিছু জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। তাতেও বেড়েছে সেতুর নির্মাণ ব্যয়।

দৃশ্যমান হলো পুরো সেতু

পুরো পদ্মা সেতু বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর ‘টু-এফ’ নামের সর্বশেষ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো সেতুর ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

এর আগে গতকাল বুধবার মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে সাজিয়ে তোলা হয় সেতুর সবশেষ স্প্যানটি।

চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি সেতুর কাজ করছে। স্প্যানের দুই পাশে তাই বাংলাদেশ ও চীনের জাতীয় পতাকা সেটে দেয়া হয়। দুই দেশের সুসর্ম্পকের কথা উল্লেখ করা হয় বড় একটি অংশ জুড়ে। স্প্যানের গায়ে লিখে রাখা হয়, যে শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামে কাজের এত অগ্রগতি, তাদের কীর্তিগাথা।

বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ইয়ার্ড থেকে রওনা হয় ক্রেনবাহী জাহাজ। পরে ৫টা ৪৫ মিনিটে খুঁটির কাছে পৌঁছায় জাহাজটি। সকাল ১০টার দিকে স্প্যানটি নিয়ে খুঁটির দিকে রওনা দেয় ভাসমান ক্রেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্প্যান নিয়ে ভাসমান ক্রেন খুঁটির কাছাকাছি পৌঁছে যায়। দুপুর ১২টার দিকে সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হলে দৃশ্যমান হয় পুরো সেতু।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। এর পর একে একে নানা বাধা পেরিয়ে ও নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিন বছর দুই মাস ১০ দিনে সেতুর সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়।

এখনো সেতুর কিছু কাজ বাকি আছে। যেমন- রোডওয়ে স্ল্যাব, রেলওয়ে স্ল্যাব, সুপার-টি গার্ডার বসানো। স্ল্যাবের উপর পীচ ঢালাইয়ের কাজ, আলোকসজ্জা, ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ করতে হবে। সব মিলিয়ে যান চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করতে আরো এক বছর লাগতে পারে।