পদ্মা সেতুতে এতো টাকা লাগবে কেন? ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন মান্নার

পদ্মা সেতুতে এতো টাকা লাগবে কেন? ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন মান্নার

পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, যতই গালি দেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন না।আমি এজন্য ঠিক করেছি, তার একটা প্রশংসা করি। এটা কোনো দালালি করছি না। সত্যি সত্যি আমি মনে করি, পদ্মা সেতু একটা ভালো কাজ হয়েছে। এটা একটা স্বপ্নের সেতু তো বটেই, অন্তত দক্ষিণাঞ্চলের জন্য। কিন্তু এই সেতুর নির্মাণ নিয়ে কথা আছে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মান্না বলেন, আমার দেশের পাশে আসাম এবং অরুণাচল এই দুইটা রাজ্যের মাঝামাঝি একটা ব্রিজ করা হয়েছে, এটার নাম ভুপেন হাজারিকা সেতু। ৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা। পদ্মা সেতু হচ্ছে ৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। ৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা সেতু নির্মাণ করতে লেগেছে ১১২৮ কোটি টাকা। আর আমাদের সোয়া ৬ কিলোমিটার ব্রিজ এখনও হয় নাই, এটার শুরুতে প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকার মতো।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিক কত হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে একদম আপডেটেড হিসাব করা হয়নি। সবাই মনে করছেন, সর্বশেষ যেটা বলেছিল ৩০ হাজার কোটি টাকা, তার সাথে আরো ১০-২০ হাজার কোটি টাকা যুক্ত হয়েছে। কমপ্লিট করতে হয়তো ২০ হাজার কোটি টাকা লাগবে। তার মানে ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকা লাগবে এই সোয়া ৬ কিলোমিটার লম্বা সেতু বানাবার জন্য। ওরা যদি সোয়া ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু ১১২৮ কোটি টাকা দিয়ে করতে পারে, পদ্মা সেতু এতো টাকা লাগবে কেন?

তিনি বলেন, এই দেশের কত টাকা বছরে লুট হয় তার কোনো হিসাব আছে? একটা হিসাব সরকারি ব্যাংকগুলো দিয়েছে, ব্যক্তি মালিকানায় যে সমস্ত ব্যাংক দিয়েছে, তারা বলেছে যে, প্রত্যেক বছর অন্তত ৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। আরো হুন্ডির মাধ্যমে যায়, ওটা সোয়া লক্ষ কোটি টাকা। সোয়া লক্ষ কোটি টাকা বাদ দেন, ৭০ হাজার কোটি টাকা যে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায়, ওই টাকা হলে প্রত্যেক বছর একটা করে পদ্মাসেতু বানাতে পারি। এত গল্প কেন?

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা অর্পনা রায়, ইশরাক হোসেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।