কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আটক যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার

কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আটক যুবলীগ নেতাকে বহিষ্কার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় আটক যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে কুমারখালী যুবলীগ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের অন্তর্গত করা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিচকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে কুমারখালীতে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে নেওয়া হয় যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমানকে। পরে তাক ওই মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর আরাফাত শনিবার দুপুরে তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

গ্রেফতার আনিসুর রহমান (৩৫) কুমারখালী উপজেলার আনিসুর কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার সঙ্গে গ্রেফতার অপর দুজন হচ্ছে সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০)। এ ছাড়া বাচ্চু (৩২) নামে আরেক যুবককে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এসপি তানভীর আরাফাত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আনিসুরের সঙ্গে কয়া মহাবিদ্যালয় (কলেজ) কর্তৃপক্ষের আগে থেকেই দ্বন্দ্ব আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগীদের নিয়ে তিনি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সড়কের পাশে স্থাপিত বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করেন।

এ ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে ধর্মীয় কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত আক্রোশেই এটি ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার মাধ্যমে হীন উদ্দেশ্য সাধনের ষড়যন্ত্র ছিল কিনা তা তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে দেখা হবে।

এদিকে ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে কয়া কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।