তখন কেউ বলবে ট্রাম্পের মতো আচরণ করছি: ঢাবি ভিসি

তখন কেউ বলবে ট্রাম্পের মতো আচরণ করছি: ঢাবি ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবির মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জাতীয়ভাবে একটি সিদ্ধান্ত হলে সেটি এক রকম। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো জাতিকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে পারি না। তখন কেউ বলবে ট্রাম্পের মতো আচরণ করছি। এটি একেবারেই অযৌক্তিক হবে। ফলে এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

স্নাতক শেষবর্ষ ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা নেয়ার পূর্বে স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেয়ার দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপার্যের কার্যালয়ে তার সঙ্গে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতারা সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. একে এম গোলাম রাব্বানী, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, সাবেক ডাকসু ও সিনেট সদস্য তিলোত্তমা শিকদারসহ অন্যান্য নেতারা।

সাক্ষাতের সময় ছাত্রলীগের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, তোমাদের দাবির সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি না। কিন্তু বিষয়টি হল এটি কোনো সাধারণ বন্ধ নয়। এ বন্ধ হল প্যানডেমিক মুহূর্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্ধ। এ বন্ধ হল ইনফেকশাস ডিজিজ (সংক্রামক ব্যাধি) ঠেকানোর জন্য বন্ধ। এখানে মামলা করার বিধান আছে। আজ যদি কেউ হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বড় আকারের ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

উপাচার্য আরও বলেন, আবাসিক হল খুলতে জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত আমাদের লাগবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত লাগবে। গতকাল (বুধবার) ইউজিসি থেকে একটি চিঠি দিয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে হলগুলো বন্ধ রাখতে হবে। তবে পরীক্ষা নেয়া যাবে বলে জানানো হয়। এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা একটি জাতীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে আমরা কোনো কাজ করে সরকার এবং জাতিকে ঝুঁকিতে ফেলে প্রশ্নের সম্মুখিন হতে চাই না।

এদিকে আবাসিক হল খুলে দিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা উপাচার্য বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। তাদের চার দফার মধ্যে রয়েছে- আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করে পরীক্ষা নিতে হবে। ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব মুক্ত করে, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় অবিলম্বে হল খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অতিরিক্ত হারে সেশন ফি, অন্যান্য ফি এবং জরিমানা নেয়া বন্ধ করতে হবে। বেতন ফি মওকুফ করতে হবে এবং পরিবেশ পরিষদের সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।