আনুশকাহ ধর্ষণ-হত্যা: আদালতে জবানবন্দি শেষে কারাগারে দিহান

আনুশকাহ ধর্ষণ-হত্যা: আদালতে জবানবন্দি শেষে কারাগারে দিহান

ঢাকার কলাবাগান এলাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার একমাত্র আসামি তানভীর ইফতেখার দিহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান আসামিকে আদালতে হাজির করেন। আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

ডিএমপির অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার রায় বলেন, কলাবাগান থানা পুলিশের আবেদনের পরে আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

গেল বৃহস্পতিবার রাতে কলাবাগান থানায় আনুশকাহর বাবার করা মামলায় শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দিহানকে আদালতে নেয় পুলিশ। স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মেয়েটির লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর নাম আনুশকাহ নূর আমিন (১৮)। সে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টার মাইন্ডের ‘ও লেভেল’ পড়তো। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেয়েটির বন্ধু দিহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন বন্ধুকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, মেয়েটির শরীরের ওপরের দিকে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তার বন্ধু দিহান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তবে তার দাবি, মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, আনুশকাহর বাসা ধানমণ্ডির সোবহানবাগে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে দুপুর ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। পরে ডলফিন গলিতে এক বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধু অন্য তিন বন্ধুকে ফোন করে আনে।

পরে তারা শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ছাত্রীর এক আত্মীয় বলেন, ওই বন্ধুর বাসায় গেলে ধর্ষণের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমরা তার লাশ উদ্ধার করেছি।