বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বান্ধবী রিমান্ডে

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বান্ধবী রিমান্ডে

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ওই শিক্ষার্থীর এক বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ফারজানা জামান নেহাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর আজ শুক্রবার নেহাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক সত্যব্রত শিকদার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মোহাম্মদপুর থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ দাবি করে, গ্রেপ্তারকৃত নেহা ও তাঁর বন্ধু আরাফাত ঘটনার দিন রাতে মদের পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে বিষাক্ত মদ পানেই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তাঁরা নিয়মিত রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় পার্টির আয়োজন করে নাচগান করতেন এমন প্রমাণ মিলেছে বলেও দাবি পুলিশের।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান চৌধুরী মিরপুর থেকে ভুক্তভোগী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বন্ধু আরাফাতের লালমাটিয়ার বাসায় যান। এরপর তিনজন উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বোস্যুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই নেহাসহ আরো দুই সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করেন। তখন রায়হান চৌধুরী তাঁকে নুহাত আলম তাফসীরের মোহাম্মদপুরের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। ধর্ষণের পর রাতে ওই শিক্ষার্থী বমি করলে রায়হান তাঁর আরেক বন্ধু অসীম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরের দিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত রোববার ওই তরুণী মারা যান।

এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে নিহত শিক্ষার্থীর বাবা একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরো একজনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ গত সোমবার জানিয়েছে, এরই মধ্যে মামলার দুই আসামি মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীরকে (২১) পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ঘটনা বের হয়ে আসবে বলে আশা করছে পুলিশ।