ছাগল চুরির মামলায় সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

ছাগল চুরির মামলায় সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

ছাগল চুরির মামলায় মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তুহিন দর্জিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত ছাত্রলীগের একটি প্যাডে তুহিনকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

তুহিন দর্জি শহরের ইটেরপুল এলাকার জেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সদর ঘটমাঝি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির দর্জির ছেলে।

বুধবার সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেইন অনিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ছাগল চুরির ঘটনাটি সারা দেশে সমালোচিত হয়েছে। ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তুহিন গ্রেফতার হওয়ার দিনই আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তার বহিষ্কার চেয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি।

চিঠি পাঠানোর ছয় দিন পর মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত ছাত্রলীগের একটি প্যাডে তুহিনকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার পখিরা এলাকা থেকে প্রাইভেটকারে করে স্থানীয় লোকমান মালোতের পালিত একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিলে তারা সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পরে টহল পুলিশকে জানালে পুলিশ গতিরোধ করে পরে ছাত্রলীগ নেতা তুহিন দর্জি এবং তার চার সহযোগী জুবায়ের হাওলাদার, রানা বেপারি, রবিউল ইসলাম ও মাহবুব তালুকদারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ সময় চুরির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার জব্দ ও ছাগল উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মামলা করা হয়। এর পর দিন ছাত্রলীগ নেতা তুহিন ও তার চার সহযোগীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

সদর মডেল থানার এসআই দীপংক রোয়াজা বলেন, মঙ্গলবার এই ছাগল চুরির মামলার শুনানি ছিল। আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে আমরা পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। কারণ মামলার বাদী এজাহারে আরও পাঁচটি গৃহপালিত ছাগল একই কায়দায় চুরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

এই ছাগল চোর চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন কিনা, সেই বিষয় তদন্ত করতেই আমরা পাঁচ দিন করে রিমান্ড চাই। কিন্তু আদালতে আসামির পক্ষের লোকজন মামলার বাদীকে হাজির করেন। সেখানে বাদী আসামির জামিন দেওয়া হলে তার আপত্তি নেই বলে আদালতকে জানান।

এর পর আদালত রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের জেলহাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

এমজে/