বান্দরবানে হোটেল নির্মাণের উদ্যোগে জাতিসংঘের উদ্বেগ

বান্দরবানে হোটেল নির্মাণের উদ্যোগে জাতিসংঘের উদ্বেগ

বান্দরবানে ম্রো জাতিসত্তা অধ্যুষিত এলাকায় পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের উদ্যোগ বন্ধ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ইউএন হিউম্যান রাইটস: অফিস অব দ্য হাইকমিশনার) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এসব বিশেষজ্ঞের মধ্যে আছেন জাতিসংঘের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসংক্রান্ত বিশেষ দূত ফ্রান্সিসকো কালি জে, চেয়ারম্যান দাঁতে পেস, ভাইস চেয়ারম্যান সূর্য দেবসহ কয়েকজন।

বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই হোটেল বানানোর ফলে ওই এলাকার পরিবেশ এবং ম্রো জাতিগোষ্ঠীর জীবনযাপনে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি হতে পারে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বান্দরবান জেলায় ম্রোদের জমিতে রিসোর্ট নির্মাণ শুরু হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জানুয়ারি থেকে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীদের বিরুদ্ধে হুমকি ও ভয় দেখানোর প্রবণতা বাড়ছে। এসব মানবাধিকারকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভূমির অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করছেন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অনুমতি, প্রতিবাদকারীদের হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশগুলোর বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।

হোটেলের এই প্রস্তাবিত প্রকল্পের জন্য ভবন, রাস্তা, ড্রেন ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার প্রয়োজন। এসব নির্মাণের ফলে এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য দূষিত হবে। ফলে এ অঞ্চলের ১০ হাজার মানুষ উচ্ছেদের ঝুঁকিতে পড়বে।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটা কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের আগে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের কাছে থেকে সম্মতি নিতে হবে। এই অঞ্চলে একটি পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাবের নিরীক্ষণ করাও জরুরি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা মানবাধিকারকর্মীদের সুরক্ষা দিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।