‘কাদের মির্জার নাম কেটে দিলে মামলা নেবে পুলিশ’

‘কাদের মির্জার নাম কেটে দিলে মামলা নেবে পুলিশ’

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মির্জা কাদের ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আলাউদ্দিনের পরিবারের মামলা নিচ্ছেনা বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা।

শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামে নিহতের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা মরিয়মের নেছা ও ছোট ভাই এমদাদ হোসেন এ হত্যাকাণ্ডের জন্য বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জাকে দায়ী করে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন। একই সাথে ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও নিহতের পরিবারের হত্যা মামলা পুলিশ রুজু না করায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নিহতের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে মামলার এজহার নিয়ে থানায় যাই। মামলার স্লিপটি ওসি সাহেবকে দিলে মামালার প্রথম আসামি তারা মির্জার নাম দেখেন। এরপর ওসি মির্জার নামটি কেটে দিলে তারা মামলা নিবে বলে জানান।’

এরআগে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মামলা রেকর্ড হয়নি। এজাহারে সমস্যা আছে। ওনাকে বলা হয়েছে। পরে উনি ঠিক করে আনবেন বলেছেন।’

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ) থেমে থেমে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের অনুসারিরা বসুরহাট বাজারের বিভিন্নস্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে চার পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ সিএনজি চালক ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মো. আলাউদ্দিন মারা যান।