মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ এখন বিবৃতিনির্ভর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ এখন বিবৃতিনির্ভর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন-রাশিয়ার ধারাবাহিক বিরোধিতাকে কৌশল হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ। সুচির তিন বছরের ক্ষমতায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের লাভ হয়নি।

গত চার বছরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ যতগুলো রেজুলেশন আনা হয়েছিল সবগুলো বিপুল ভোটে গৃহীত হলেও চীন-রাশিয়া ভেটো দেওয়ায় এগুতে পারেনি জাতিসংঘ।

বৈশ্বিক এ সংস্থাটি রেজুলেশনে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা ইস্যুতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানোর মধ্যেই কেবল সীমাবদ্ধ।

এখন পর্যন্ত মোট ছয় দফায় আট লাখ ৩০ হাজার তালিকা হস্তান্তর করা হলেও শুরু কারা যায়নি প্রত্যাবাসন।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) আব্দুর রশিদ মনে করেন, ‘কূটনীতির ভাষা বুঝে না মিয়ানমার, প্রয়োজন সমরাস্ত্র কেন্দ্রিক কৌশল।’ তিনি বলেন, দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না থাকায় ভিন্ন কিছু ভাবতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সমস্য হলো- ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিবে না এই কথা তারা কখনো বলেনি।’ আর জাতিসংঘে যে দেশগুলো এর বিরোধীতা করে ও চুপ থাকে তারা বাংলাদেশ-মিয়ানমার উভয় দেশেরই বন্ধু।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ ও বৈশ্বিক সম্পদায়ের ভূমিকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

অবশ্য জাতিসংঘের আনা রেজুলেশনগুলো আন্তর্জাতিক রীতিনীতির গুরুত্বপূর্ণ এক উৎস হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বলে মনে করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।

সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

এমজে/