ঢামেকের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ড, ৩ রোগীর মৃত্যু

ঢামেকের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ড, ৩ রোগীর মৃত্যু

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা রোগীদের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্য ভবনের আইসিইউতে স্থানান্তরের পর তিনজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্রিটিক্যাল রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করতে গিয়ে তিন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রোগী মৃত্যুর সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের সম্পর্ক নেই। এর আগে বুধবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে আইসিইউতে আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের জিয়া রহমান জানান, আমরা সকাল ৮টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় আইসিইউতে থাকা রোগীদের সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাদের পুরাতন বার্ন ইউনিটের আইসিইউ, নতুন ভবনেরই সিসিইউসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। যারা আইসিইউতে ছিলেন তাদের প্রত্যেকের অবস্থা ক্রিটিক্যাল ছিল।

পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত ক্রিটিক্যাল রোগীরা আইসিইউতে থাকে। প্রতিদিনই রোগী মারা যাচ্ছে। তবে আগুন লাগার সঙ্গে রোগী মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত তিনজন করোনা রোগীর পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- কাজী গোলাম মোস্তফা (৬৬), পিতা কাজী বেলায়েত হোসেন। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার উজানীতে। বর্তমানে ঢাকার দক্ষিণখানে থাকতেন। নিহতের ছেলে কাজী মারুফ জানান, ১২ তারিখের করোনা ইউনিটে দুই নম্বরে আইসিইউ’র নয় নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। তিন মেয়ে এক ছেলের জনক ছিলেন তিনি।

অপর রোগী হলেন- আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (৪৮), পিতা আব্দুস সাত্তার মিয়া। গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর আটিগ্রামে। নিহতের আত্মীয় আব্দুস সাত্তার জানান, গত চার তারিখে করোনা ইউনিট ২ আইসিইউ দুই নম্বর বেডে ভর্তি ছিল। তিনি মানিকগঞ্জ ঈশাননগরকারী ইসমাইল দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এক ছেলে এক মেয়ের জনক ছিলেন তিনি।

তৃতীয়জন হলেন- কিশোর চন্দ্র রায় (৬৮), পিতা বাদীরা লাল রায়। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর জেলায়। বর্তমানে মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে থাকতেন। নিহতের মেয়ের জামাতা বিপুল বসাক জানান, গত ৯ তারিখে করোনা ইউনিট আইসিইউ-এর ৮ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন। তিনি চার মেয়ের জনক ছিলেন।