প্রেস ক্লাবে মোদিবিরোধী সমাবেশ

প্রেস ক্লাবে মোদিবিরোধী সমাবেশ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ ৯টি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার সকালে তারা পুলিশবেষ্টিত হয়ে এ সমাবেশ করে।

সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তাফা বলেন, ‘সারা দেশে অঘোষিত ১৪৪ ধারা চলছে। আমরা আমাদের স্বাধীনতার অধিকার থেকে বঞ্চিত।

‘আমরা এই দালাল সরকারকে বলতে চাই, এভাবে ছাত্রলীগ আর পুলিশ দিয়ে আন্দোলন দমন করা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের ওপর ছাত্রলীগের যত হামলা হয়েছে, তার একটিরও বিচার হয়নি। দোষীদের খুঁজে বের করা হয়নি।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘এই যে মোদি এসেছেন তার হাতে এখনও সাম্প্রদায়িকতার রক্ত লেগে আছে। আমরা তাকে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি হিসেবে আখ্যা করেছি। আমাদের স্বাধীনতা উৎসবে নরেন্দ্র মোদি অতিথি হতে পারেন না।

‘এই স্বৈরাচার সরকার তারপরও মোদিকে নিয়ে এসেছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই স্বৈরাচার সরকার জনগণের কথা শোনে না।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা জানান, গত ২৩ মার্চ টিএসসির ডাস চত্বরে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মোদিবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগের কয়েক কর্মী তাদের মারধর করেন। এরপর বৃহস্পতিবার সেই হামলার বিচার দাবি ও মোদির আগমনের বিরুদ্ধে মিছিল বের করলে ছাত্রলীগ হামলা করে।

বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, ‘এখন আমরা রাস্তায় বের হতে পারি না। একদিকে ছাত্রলীগ আরেক দিকে পুলিশ। তাদের দিয়ে আমাদের দমন করা হয়।’

শাল্লায় হামলা সরকারের পরিকল্পিত উল্লেখ করে কবির বলেন, ‘ওই হামলা সরকার পরিকল্পনা করে করেছে। নরেন্দ্র মোদিকে এনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কালিমা লেপন করা হয়েছে।’

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট্রের সভাপতি আল কাদেরী জয় বলেন, ‘গণবিরোধী ও ফ্যাসিস্ট চরিত্রের মোদিকে দেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে আগমনের প্রতিরোধে আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে আসছেন বারবার। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমাবেশের সময় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। পুলিশের কয়েকবার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করে তারা সরে পড়েন।

এমজে/