ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৪ বিক্ষোভকারী নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শিলব্রত বড়ুয়া চার জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাটহাজারী থেকে ৪ জন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এতে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আহত রয়েছে অর্ধশতাধিক। এদিকে সংঘর্ষের সময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা হাটহাজারী থানায় ভাংচুর চালায়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম -খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে। আশেপাশের দোকানপাট বন্ধ আছে।
সেখানে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, ঢাকার বায়তুল মোকাররমে মুসল্লি ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মাদ্রাসার ছাত্ররা শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চারজন মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেককে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তাদের নাম–পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
পুলিশ বলছে, মিছিলকারীরা হাটহাজারী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন আহত হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বেলা আড়াইটা থেকে মাদ্রাসার সামনে ছাত্ররা অবরোধ করে। এতে হাটহাজারী-নাজিরহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।