ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও হেফাজত কর্মীসহ এক শ’রও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আহত ৫৫ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জুমার নামাজের পর হেফাজতের নেতাকর্মীরা মোদিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে পুলিশ হেফাজতের কর্মীদের বের করে দিতে মসজিদের উত্তর গেট ফাঁকা করে দেয়। তবে দক্ষিণ গেট থেকে যুবলীগ কর্মীরা ওই দিকে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করে।
ওই সময় মসজিদের মধ্যে অনেক সাধারণ মুসল্লিও আটকা পড়েন। তারা সংঘর্ষের কারণে বের হতে পারেননি। লাঠি ও গুলির আঘাতে আহতদের মসজিদের ফ্লোরে শুইয়ে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা যাবৎ এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় পুলিশ থেমে থেমে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল মারে। এ সময় হেফাজত কর্মীরা একটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ধাওয়া দিলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা দৌঁড়ে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়।
এর পর পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা একত্রে হেফাজত কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঢুকে যায়। কিছুক্ষণ পর হেফাজত কর্মীরা আবার আওয়ামী লীগ কর্মীদের ধাওয়া দিলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা পিছু হটে।