লকডাউনে বেকারত্ব বিবাদে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করলেন স্বামী!

লকডাউনে বেকারত্ব বিবাদে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করলেন স্বামী!

রাজধানীর পল্লবীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পরিবার বলছে, করোনা ভাইরাসের কারণে সম্প্রতি লকডাউনে স্বামীর বেকারত্বে সংসারে অভাব অনটন শুরু হয়। যে পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত। অতঃপর যা কুপিয়ে হত্যায় গিয়ে গড়ালো!

হত্যার শিকার গৃহবধূর নাম উমামা বেগম কনক (৪০)।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

পল্লবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায়। গুরুতর আহত গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৪ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহত গৃহবধূর বড় বোন রুমা আক্তার জানান, কনকের স্বামী ওমর ফারুক দীর্ঘদিন জাপান ছিলেন। দেশে আসার পর থেকে তিনি বেকার। লকডাউনের কারণে কোনো কাজে যুক্ত হতে পারেননি, সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো। এর জের ধরে গত রাতে ফারুক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কনককে কুপিয়ে আহত করে। পরে খবর পেয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন আজ ভোরে সে মারা যায়।

রুমা আরও জানান, কনককে কুপিয়ে আহত করার পর ফারুক বাসাতেই ছিলেন। তিনি সবার কাছে এই ঘটনা স্বীকারও করেছেন। এই দম্পতির বাড়ি নরসিংদী জেলার সদরে। ১ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে মিরপুরের পল্লবীতেই থাকতেন এ দম্পত্তি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, গৃহবধূ কনকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি পল্লবী থানায় জানানো হয়েছে।

এমজে/