কমিটি বিলুপ্তির সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে হেফাজতের নতুন আহ্বায়ক কমিটি

কমিটি বিলুপ্তির সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে হেফাজতের নতুন আহ্বায়ক কমিটি

হেফাজতে ইসলামের সদ্য সাবেক আমির জুনায়েদ বাবুনগরীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজত নেতা আহসান উল্লাহ। তিনি বলেন, কাউন্সিলের মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি সারাদেশে নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন।

আহ্বায়ক কমিটির অন্য দুজন হলেন— মহিববুল্লাহ বাবুনগরী ও নুরুল ইসলাম জিহাদী।

রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর সাড়ে তিন ঘণ্টা আগে কমিটির বিলুপ্তি ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

মহিবুল্লাহ বাবুনগরী আগের কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আর নুরুল ইসলাম মহাসচিব ছিলেন। মহিববুল্লাহ বাবুনগরী জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা।

দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্প্রতি সহিসংতার ঘটনার পর এ সংগঠনটি নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা ও সমালোচনা।

একে একে গ্রেফতার হন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। সবশেষ এবার সংগঠনটির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার হাটহাজারী মাদ্রাসায় এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের পরামর্শক্রমে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আবার হেফাজত কমিটির কার্যক্রম শুরু হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গত বছরের ১৫ নভেম্বর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমীর এবং নূর হোসাইন কাসেমীকে মহাসচিব করে ঘোষণা করা হয়েছিল ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতে ইসলামের এ কমিটি।

আল্লাম আহমদ শফি হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতাকালীন আমীর হলেও এই কমিটিতে তার সব অনুসারীকেই বাদ দিয়েছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী।

এমনকি আল্লামা আহমদ শফি মারা যাওয়ার মাত্র দুমাসের মধ্যেই তড়িঘড়ি করে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটি গঠনের কয়েকমাসের মধ্যেই মারা যান মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী। এরপর সংগঠনটির পুরো নেতৃত্ব নিয়ে নেয় যুগ্ম মহাসচিব এবং খেলাফত মজলিস নেতা মামুনুল হক।

বিগত ২০১০ সালে নারী নীতির বিরোধীতা করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে আত্মপ্রকাশ করে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।

২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গঠিত গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসে সংগঠনটি।

কিন্তু সাংগঠনিক বিরোধের জের ধরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয় আল্লামা আহমদ শফিকে।

পরদিনেই তিনি ঢাকায় মারা যান। আর এরপরই হেফাজতের নেতৃত্ব চলে যায় জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মামুনুল হকের হাতে। শেষ পর্যন্ত নানামুখী চাপে সেই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

এমজে/