বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের চাপ, বাড়তি ভাড়া নিয়ে হাতাহাতি

বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীদের চাপ, বাড়তি ভাড়া নিয়ে হাতাহাতি

গার্মেন্ট, শপিংমলসহ দোকানপাট খোলায় শিবচরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে বাড়তি ভাড়া নিয়ে ঘাট এলাকায় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার সকাল থেকে ঘাট পার হতে চাওয়া যাত্রীদের চাপ আগের দুই দিনের তুলনায় অনেক বেশি দেখা গেছে। যাত্রীদের বেশির ভাগই ঢাকাগামী। তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন প্রবণতাও নেই।

লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে করে পারাপার হচ্ছেন। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে সাধারণত ১৮টি ফেরি চলাচল করলেও করোনা ভাইরাস রোধে চলমান লকডাউনে চলাচল করছে মাত্র ৭টি ফেরি।

দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। এছাড়া, সকাল থেকেই ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এদিকে, অটো, মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্র, মাইক্রোবাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের ঘটনায় নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে ফেরিঘাট এলাকায়।

ঢাকায় কর্মস্থলে পৌঁছাতে ফেরি পার হতে অপেক্ষায় থাকা রহমান বলেন, গতকাল রওনা দেয়ার ইচ্ছা ছিল, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পারি অনেক ভিড়ের কারণে যেতে বেশি কষ্ট হবে, তাই অফিস থেকে আরও একদিন ছুটি নিয়ে আজ সকালে রওনা দিয়েছি। কিন্তু আজ দেখি প্রচুর ভিড়। কি করব যেতেই হবে।
তাই যাচ্ছি!

ঢাকাগামী এক পরিবারের কর্তা কালাম মিয়া জানান, লকডাউনের কথা শুনে ভেবেছিলাম ঈদ করে ঢাকা ফিরব, কিন্তু শুনলাম লকডাউন থাকবে না। তাই পরিবারসহ আবার ঢাকা ফিরছি।

মাদারীপুর বাংলাবাজার ফেরি ঘাট ম্যানেজার সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, গতকালের চেয়ে আজ দুটি ফেরি বাড়ানো হয়েছে। ফেরি দিয়ে জরুরি সেবা প্রদানকারী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

এমজে/