বাড়লো মৃত্যু

বাড়লো মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ৬০ জন। এর আগে প্রায় তিন সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গতকাল শুক্রবার করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছিল। এদিন করোনায় ৫৭ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় সরকার। আজ শনিবার আবার এই সংখ্যা বাড়লো। এই ৬০ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১ হাজার ৫১০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৪৫২ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন সাত লাখ ৬০ হাজার ৫৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ২৪৫ জন আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৬৭১ জন।

শনিবার (১ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ৫ এপ্রিল করোনায় ৫২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর থেকে আর একদিনে মৃত্যু ৬০ জনের নিচে নামেনি। গত ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান একদিনে, যা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। তিন সপ্তাহ পর শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) করোনায় একদিনে মৃত্যু ৬০-এর নিচে নামে। এদিন করোনা শনাক্ত হন দুই হাজার ১৭৭ জন। গত ৬ এপ্রিল সাত হাজার ৬২৬ জন শনাক্ত হন, যা এখন পর্যন্ত একদিনে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয় ১৪ হাজার ৮২১টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয় ১৫ হাজার ১১৭টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ৮২১টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪০ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮৯টি।

দেশে বর্তমানে ৪২০টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এরমধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা হচ্ছে ১২৪টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা হচ্ছে ৩৪টি পরীক্ষাগারে, আর র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা হচ্ছে ২৬২টি পরীক্ষাগারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৭ জন এবং নারী ২৩ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন আট হাজার ৩৯০ জন, আর নারী তিন হাজার ১২০ জন।

৬০ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৩৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে অধিদফতর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ৬০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৯ জন, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের পাঁচ জন করে, বরিশাল বিভাগের একজন আর রংপুর বিভাগের আছেন দুই জন।

তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪০ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২০ জন।