খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন

প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত: বিএনপি

প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত: বিএনপি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেয়ার অনুমতি না দেয়ায় তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত আমরা নিঃসন্দেহ হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বিএনপি চেয়ারপারসনকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল তাকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করে দেয়া। এর ধারাবাহিকতায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা দেয়া হয়। দলকেই রাজনীতি থেকে দূরে সরে রাখার চক্রান্ত চলছে।

তিনি বলেন, আমরা অনেকবার তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্ত সেটা হয়নি। যখন দেশ করোনা আক্রান্ত তখন তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। আজ করোনা আক্রান্তের পর যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেটা যথেষ্ট নয়। কারণ, তার করোনা পরবর্তী বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। তার বয়সের কারণে জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের ধারাবাহিকতায় এ সরকারও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চান। তারই ফলশ্রুতিতে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা মনে করি এ সিদ্ধান্তের কোনো যুক্তি নেই। তারা বলছে, দণ্ডপ্রাপ্তদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্ত তারা তো অসংখ্য নজির সৃষ্টি করেছে। শুধু মানবিক নয়, রাজনৈতিক কারণে তাকে বিদেশ পাঠানো জরুরি। কারণ তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি চরিতার্থ করতেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি রাজনীতির শিকার। রাজনীতির শিকার হয়েই কারাগারে আছেন।

ফখরুল বলেন, যে ধারায় তার সাজা স্থগিত করা হয়েছে ওই ধারাতেই বিদেশে যাওয়া কিংবা একেবারে সাজা মওকুফ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনের আসামিকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে পারেন, মাফ করে দিতে পারেন, কিন্ত একজন জনপ্রিয় নেত্রীর জন্য কোনো মানবতা কাজ করে না। তাদের কোনো শিষ্টাচার কাজ করে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরবর্তী করণীয় নিয়ে পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ, তার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে দলীয়ভাবে কোনো আবেদন করা হয়নি। পুরো বিষয়টি পরিবার দেখছে। এখন পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে তারা কি করবে।

এর আগে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।