খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় উদ্বিগ্ন কূটনীতিকরা, জানাচ্ছেন শুভকামনা

খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় উদ্বিগ্ন কূটনীতিকরা, জানাচ্ছেন শুভকামনা

জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমন্টের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা ও উপহার পাঠাচ্ছে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশন।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং জাপানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দ।এদের মধ্যে কোনো কোনো কূটনীতিক তার জন্য উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া বেশকিছু দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানরা টেলিফোন করে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিয়ে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। চিঠিতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে বেগম জিয়ার জন্য ফুল পাঠিয়েছেন তিনি।

গত ২২ এপ্রিল ফুলের তোড়া পাঠিয়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। রাষ্ট্রদূত মিং খালেদা জিয়ার জন্য চীনের তৈরি হারবাল মেডিসিন পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া গত ৭ মে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ চিঠি পাঠিয়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন। এরপর মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার জন্য তিনি ‘গিফট বক্স’ পাঠান।

এ ছাড়া গত ১৩ এপ্রিল এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো।

এ বিষয়ে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশস্থ কূটনীতিকদের সকলেরই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। কারণ তার জীবনের সঙ্গে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, তথা জনগণের অধিকার অনেক কিছু সম্পর্কিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলা এবং তাকে যেভাবে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এগুলো নিয়েও কূটনীতিকদের মধ্যে উদ্বেগ আাছে। ফলে তারা নানাভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’

উল্লেখ্য, গত ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত এবং সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত এবং সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করি।”

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতের আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

গত ৮ মে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি প্রসঙ্গে বাংলাদেশি সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর করা এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক বলেন, “আমরা অবশ্যই আশা করব খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা সেবা যেন নিশ্চিত করা হয়। তার শারীরিক অবস্থা যাতে বিপদের মুখে পতিত না হয়।”

শ্বাসকষ্ট জটিলতা নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নেয়ার আবেদন করলেও সরকার তরফে তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।

কেবি/