ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে ঈদের জামাতের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর শাখা।

এ সময় বক্তারা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই হামলার মানবতার বিরুদ্ধে হামলা।

জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে এই নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান নেতাকর্মীরা।

ওই সমাবেশে কয়েকজন ফিলিস্তিনি নাগরিক বাংলাদেশের মানুষকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর গিয়ে শেষ হয়। ওই মিছিলে হাজারো মানুষ অংশ নেয়।

মিছিল শেষে বিশ্ব মানবতার শান্তি প্রার্থনা করে বিশেষ দোয়া করেন মুসুল্লিরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারিতে ক্লান্ত তখন অবৈধ দখলদার ইসরাইল রমজানের মধ্যে আবারো দানবীয় রূপে আবির্ভূত হয়েছে।

গত অর্ধশত বছর ধরে ইসরাইলী এমন বর্বরতা দেখালেও জাতিসংঘসহ বিশ্ব শক্তিগুলো কার্যকর কিছুই করছে না।

এমতাবস্থায় বিশ্ব সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ৭৩ বছর পূর্বে ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে এই দিনেই দখলদার ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ১৪ই মে একটি কালো দিবস।

অতএব, সরকারের এখন উচিৎ শুধু বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ না থেকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মতো মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কার্যকর কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা।

এদিকে, ফিলিস্তিন যেন চলমান আগ্রাসন থেকে মুক্তি পায় এবং সেখানে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠা পায় এই কামনায় ঈদের নামাজেও বিশেষ দোয়া করা হয়।

ঈদের নামাজ শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, "ফিলিস্তিনবাসীর ওপর পবিত্র ঈদের পূর্ব মুহূর্তে আক্রমণ হয়েছে। এর নিন্দা জানাই এবং ফিলিস্তিনে যেন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় সেটি প্রার্থনা করি।"

পূর্ব জেরুসালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গত সোমবার থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে হামলা, পাল্টা হামলা শুরু হয়।

এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ২৭ জনই শিশু। আহত হয়েছেন ৫৮০ জন।

অন্যদিকে এই সংঘাতে সাত জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।