কারাবন্দি হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবালের মৃত্যু  

কারাবন্দি হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবালের মৃত্যু   

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহসভাপতি ও খেলাফত মজলিসের উপজেলা সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসেন (৫৫) কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

মোদী বিরোধী বিক্ষোভের পরে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃত হেফাজত নেতা সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব, তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আটক ছিলেন।

১১ মে তাকে পুলিশি পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুর ১২টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইকবাল হোসেন মারা যান বলে জানায় পুলিশ।

বিকেলে শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোবিন আহমেদ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইকবাল হোসেন মারা গেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

মোবিন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, গত ১১ মে ইকবাল হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁকে গত ১৫ মে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। তাতেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে ১৮ মে তাঁকে আগারগাঁওয়ের নিউরোসাইয়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকেও তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবশেষে আজ দুপুরে সেখানে তিনি মারা যান।’

মাওলানা ইকবাল হোসেনের বড় মেয়ে মেহবুবা বলেন, "সকালে আমরা খবর পাই যে বাবা খুবি অসুস্থ। হাসপাতালে এসে তাকে দেখতে পাই আইসিইউতে। বিকাল ৩টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।"

তিনি আরও বলেন, "বাবা নিরপরাধ। তাকে হত্যা করা হয়েছে।"

গত ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার জুরাইন রেলগেট বাজার মসজিদের সামনে থেকে ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরের দিন তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে আদালতে পাঠানো হয়।

র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, গত ৩ এপ্রিল স্থানীয় জনতার হাতে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারীসহ রয়্যাল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার পর রিসোর্টটিতে ভাঙচুরসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও অগ্নিসংযোগ করে জনমনে ভীতি সঞ্চার করে হেফাজতকর্মীরা। এ সংক্রান্ত মোট চারটি মামলার আসামি ইকবাল হোসেন। গত ১২ এপ্রিল ইকবাল হোসেন সোনারগাঁ থানার দুই মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা কারা কর্তৃপক্ষ শাহ রফিকুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁ থানার চারটি মামলার মধ্যে দুটি মামলার প্রধান আসামি ইকবাল হোসেন।