পেঁয়াজ নিয়ে আবার হুলস্থুল : ৩ দিনে বেড়েছে ২০ টাকা

পেঁয়াজ নিয়ে আবার হুলস্থুল : ৩ দিনে বেড়েছে ২০ টাকা

পেঁয়াজ নিয়ে আবার হুলস্থুল কাণ্ড। তিন দিনে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। ৪০ টাকার পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বেড়েছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও রসুনের দামও। সপ্তাহ খানেক আগে ভোজ্যতেলের দাম যে বেড়েছে ওই অবস্থায়ই এখনো আছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে গরুর গোশতের দামও বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা। তবে সবজির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। প্রায় সব সবজিই এখন ৪০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের দাম আবার উপরে উঠছে। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে দাম। গত তিন দিনে বেড়েছে ২০ টাকা। অবশ্য নিম্ন মানের পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।

বোরহান নামের এক ক্রেতা শুক্রবার মানিকনগর এলাকায় পেঁয়াজ কেনার সময় বলেন, তিন দিন আগেও তিনি ৪০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছেন। এখন সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। বোরহান বলেন, পেঁয়াজের দাম কী কারণে বাড়ল তা তার বোধগম্য নয়। পেঁয়াজ তোলার মৌসুমতো কেবল শেষ হলো।

মানিকনগরের একাধিক পেঁয়াজ বিক্রেতা শুক্রবার বলেন, পাইকারিতেই তাদের বেশি দাম দিতে হচ্ছে। যে কারণে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

টঙ্গীর এক আড়তদার বলেন, কৃষকের কাছ থেকেই তাদের বেশি দামে পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কৃষক কম কম পেঁয়াজ বিক্রি করছে, যে কারণে বাজারে চাহিদা বেশি, দাম চড়া। অপর দিকে সীমান্তে লকডাউনের কারণেও চাহিদা মতো পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না বলে ওই ব্যবসায়ী জানান। পাইকারি বাজারে শুক্রবার ৪৬ টাকায় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে বলে ওই ব্যবসায়ী জানান।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চিকন, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম গত তিন দিনের ব্যবধানে আরো বেড়েছে। কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়ে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেন। দাম বেড়ে চিকন চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, যা দুই দিন আগেও ৬০ থেকে ৬৪ টাকার মধ্যে পাওয়া গেছে। মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। চালের পাশাপাশি দাম বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এক প্যাকেট আটার দাম বেড়ে এখন ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেট ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৪২ থেকে ৪৪ টাকার মধ্যে। গরুর গোশত কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। যে গোশতের কেজি ছিল ৫৬০ টাকা। তা এখন কিনতে হচ্ছে ৬০০ টাকায়।

তবে সবজিতে স্বস্তি আছে। সবজির দাম কিছুটা কমেছে। যে সবজির কেজি গত সপ্তাহে ৫০ টাকা ছিল তা এখন ৪০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। তবে এই দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।

কাইউম নামের এক ক্রেতা শুক্রবার মানিকনগরে বলেন, কোনো সবজি ৪০ টাকার নিচে নেই। আগের চেয়ে কিছুটা দাম কমলেও এখনো তা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নয় বলে ওই ক্রেতা উল্লেখ করেন। তবে টমেটোতে বেড়েছে আরো ১০ টাকা।

শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢেঁড়শ, পটোল, কাকরোল, বেগুনসহ প্রায় সব সবজিই ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। নিম্নমানের টমেটো ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে কাঁচামরিচের দাম এখন সবচেয়ে কম। শুক্রবার কাঁচামরিচের কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এমজে/