কঠোর লকডাউনেও সোনামসজিদ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

কঠোর লকডাউনেও সোনামসজিদ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

কঠোর লকডাউনে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলছে।

জানা গেছে- প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৩০টি ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাক সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। প্রথমে ভারতীয় ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য জিরো পয়েন্টে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসকের উপস্থিতি ভারতীয় ট্রাক জীবাণুমুক্ত করার লক্ষ্যে স্প্রে করানো হয়।

এরপর চালক ও সহকারীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। পরে পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের প্রবেশমুখে ভারতীয় ট্রাকচালক ও সহকারীদের লাল ফিতা পরিয়ে দেয়া হয়।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের কয়েকজন শ্রমিক জানান, পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সীমানার বাইরে বন্দর এলাকায় ভারতীয় ট্রাকচালক ও সহকারীদের চলাফেরা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, পানামা ইয়ার্ডের ভেতরে গড়ে প্রতিদিন দুই শতাধিক ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাক প্রবেশ করে। পণ্যবোঝাই ভারতীয় ট্রাকচালকদের লাল ফিতা পরিয়ে দেয়ায় পানামার সীমানার বাইরে যেতে পারেন না।

এমনকি তারা বাইরে হোটেলে খেতে যেতে পারেন না। নিজেদের আনা শুকনা খাবার খেয়েই তারা পানামার ভেতরে অবস্থান করেন। এসব ট্রাকচালকদের বন্দরে রাত যাপন করতে দেওয়া হয় না। সন্ধ্যার আগেই তাদের ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাল খালাস করার পর মোবাইল ফোনে তাদের ডাকা হয়। তখন তারা এসে ট্রাক নিয়ে ভারতে চলে যান।

পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার বেল্লাল হোসেন জানান, পানামা ইয়ার্ডের ভেতরে লোড-আনলোডে নিয়োজিত ৩০০ শ্রমিক মাস্ক পরিধান করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছেন।

পণ্যবোঝাই ভারতীয় ট্রাকের প্রবেশ কমিয়ে আনতে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়; যা আগে ছিল সূর্যাস্ত পর্যন্ত। সপ্তাহে একদিন কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম নিয়োজিত রয়েছে।

এছাড়া বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে ৯ দফা নির্দেশনা মেনে চলার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলছে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সহকারী কাস্টমস কমিশনার মমিনুল ইসলাম জানান, ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে সব ধরণের বিধিনিষেধ মেনেই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এমজে/