বজ্রপাতে একদিনে ১৭ মৃত্যু

বজ্রপাতে একদিনে ১৭ মৃত্যু

বজ্রপাতে রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জে ৪ জন, মানিকগঞ্জের ঘিওর ও দৌলতপুরে ২ জন এবং ফেনীর সোনাগাজীতে ২ জন, মাদারীপুরের শিবচরে ১ জন, ঢাকার ধামরাইয়ে ১ জন, চট্টগ্রামের মীরসরাই ও বোয়ালখালীতে ২ জন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১ জন, বরিশালের উজিরপুরে ১ জন, পাবনায় ১ জন, মেহেরপুরে ১ জন এবং মানিকগঞ্জে ১ জন মারা গেছেন।

মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বৈলত গ্রামে রোববার ধান কাটার সময় বজ্রপাতে শাহীন (১৮) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শাহীন ঘিওর সদর ইউনিয়নের মুক্তার হোসেনের ছেলে। এছাড়া দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের চরভাঙ্গা গ্রামের মহিষের গাড়ি চালক বাদামবোঝাই করে ফেরার পথে গোলাম মোস্তফা (৪০) বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি চরভারাঙ্গা গ্রামের আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে।

সোনাগাজী (ফেনী) : সোনাগাজীতে বজ্রপাতে সাজেদা আক্তার তামান্না নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী এবং আল আমিন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বগাদানা ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামের আনু ফরায়েজি বাড়িতে রোববার এ ঘটনা ঘটে। মাদ্রাসা ছাত্রী তামান্না সোলেমানের মেয়ে এবং আল আমিন তার ফুপাতো ভাই ও চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী গ্রামের বাহার উল্যাহর ছেলে।

শিবচর (মাদারীপুর) : শিবচরে রোববার বজ্রপাতে আয়েশা বেগম নামে এক নারীর হয়েছে। আয়েশা বেগম উপজেলার চরজানাজাত ইউনিয়নের বালুরটেকে এলাকার ছোরফান হাওলাদারের স্ত্রী।

ধামরাই (ঢাকা) : ধামরাইয়ে বজ্রপাতে আব্দুল খালেক নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে ধানের খড় মাথায় করে বাড়ি যাওয়ার সময় কুশিয়ারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খালেক বড় কুশুরিয়া এলাকার মোহাম্মদ বাবু মিয়া বেপারীর ছেলে।
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : মীরসরাইয়ে বজ্রপাতে সাজ্জাদ হোসেন তারেক নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পূর্ব ডোমখালী গ্রামে রোববার এ ঘটনা ঘটেছে।

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : বোয়ালখালীতে বজ্রপাতে জাহাঙ্গীর আলম নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামে রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। জাহাঙ্গীর জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের মোস্তাফা কামালের ছেলে।

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নে পূর্ব মাইছরা গ্রামে রোববার বজ্রপাতে আবদুল মান্নান খোকন নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। খোকন ওই গ্রামের সৈয়দ আহম্মদ মুন্সির ছেলে।

উজিরপুর (বরিশাল) : বরিশালের উজিরপুরে রোববার বজ্রপাতে নান্টু বালী নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নান্টু বালী সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রামের মাতাবদী বালী বাড়ীর ইউনুস বালীর ছেলে।

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) : দোয়ারাবাজারে বজ্রপাতের সময় নৌকা থেকে ছিটকে নদীতে নিখোঁজের দুদিন পর ভেসে উঠল ইলিয়াস আলীর লাশ। চেলা নদীর চাইরগাঁও বাজার (ক্যাম্পের) ঘাট থেকে রোববার তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ইলিয়াস আলী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।

সেনবাগ (নোয়াখালী) : বজ্রপাতে সেনবাগ উপজেলায় বিজবাগ ইউনিয়নের উত্তর বালিয়াকান্দি গ্রামের মুজা মিয়ার দুটি গরু মারা গেছে। এ সময় একটি ঝাউগাছ ফেটে চৌচির হয়ে গেলেও তার পরিবারের কেউ আহত হননি।

দশমিনা (পটুয়াখালী) : দশমিনায় বজ্রপাতে একটি গাভী মারা গেছে। রোববার বেলা ২টায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গাভীটি দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের মো. আ. কুদ্দুস সিকদারের ছেলে শাহাবাজ সিকদারের।

মেহেরপুর : মেহেরপুরের মুজিবনগরে বজ্রপাতে ফরিদ নওদা (৫০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। রোববার বিকালে পুরন্দরপুর নটগাড়ির মাঠে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ফরিদ নওদা মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের পুরুন্দরপুর গ্রামের মৃত বকস নওদার ছেলে।
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় পৃথক দুটি স্থানে রোববার বিকালে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চর আঙ্গারু গ্রামের আমানত মোল্লার ছেলে মো. আব্দুল্লাহ ও নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন ভোলার ছেলে আলী বাবুর্চি।

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) : উল্লাপাড়ায় রোববার সন্ধ্যায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলো- উধুনিয়া ইউনিয়নের আগ দিঘলগ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (১৫)। ফরিদুল স্থানীয় মানিকজান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। অপরজন সলংগা ইউনিয়নের আঙ্গারু গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫)।

পাবনা : বজ্রপাতে পাবনার আটঘরিয়ায় যুথী খাতুন (১৬) নামের এক মেধাবী কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় আটঘরিয়া উপজেলার পাইকেল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যুথী খাতুন ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে এবং দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।