দুই ধর্মের তরুণ-তরুণীর প্রেম, বিয়ে, অতঃপর...

দুই ধর্মের তরুণ-তরুণীর প্রেম, বিয়ে, অতঃপর...

অভি দাশ (১৯) ও মেহেরুন্নেসা (১৬)। ২০১৯ সালে দুজনেই বিনাজুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে তারা দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। জানা যায়, মেহেরুন্নেসা রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোবারকখিল গ্রামের আবু হেনা ও জেসমিন আকতারের মেয়ে এবং অভি দাশ একই এলাকার জলদাশ পাড়ার মনোরঞ্জন দাশের ছেলে। দুইজনের পরিচয় মানুষ হলেও অভি দাশ জন্মগ্রহণ করেছিলেন হিন্দু পরিবারে আর মেহেরুন্নেসার জন্ম মুসলিম পরিবারে। দুই ধর্মের তরুণ-তরুণীর প্রেম চলতে থাকে।

মেহেরুন্নেসার পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মেয়েকে (মেহেরুন্নেসা) মুসলিম পরিবারে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। বিয়ের প্রস্তাবও আসে।

অবশেষে গত ১৩ই জুন সকাল ৯টায় অভিদাশের সঙ্গে পালিয়ে যান মেহেরুন্নেসা। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে অভিদাশ হয়ে যান আয়াত ইসলাম।

তবে পুলিশ বলছে, মেহেরুন্নেসাকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে তার মা জেসমিন আকতার রাউজান থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-হারুন, পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) কায়সার হামিদের সার্বিক সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে উপপরিদর্শক অনুপম দাস সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী থানার মাতারবাড়ি শায়ের দিল নামক দুর্গম এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারী অভিদাশকে গ্রেপ্তার করেন। দুইজনে মৌখিকভাবে ধর্মান্তরিত ও বিয়ের বিষয়টি জানালেও কোন ডকুমেন্ট উপস্থাপন করেনি।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, রাউজান বিনাজুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ভিকটিম মেহেরুন্নেসা (১৬) কে বিবাদী অভিদাস ফুসলিয়ে অপহরণ করেছে মর্মে অপহরণ মামলা করেন তার মা জেসমিন আকতার। মামলা রুজু হওয়ার পর অভিদাস ভিকটিমকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে রেখে আত্মগোপনে থাকায় বান্দরবানসহ একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়। অবশেষে কক্সবাজারের মহেশখালী থানার মাতারবাড়ি শায়ের দিল নামক দুর্গম এলাকা থেকে ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারী অভিদাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ ভিকটিম মেহেরুন্নেসা এবং আসামি অভিদাসকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। মামলাটি তদন্তনাধীন আছে।

এমজে/