বিধিনিষেধের ১০ম দিন

গরিব, শ্রমজীবী ও অসচেতন মানুষকেই করা হচ্ছে গ্রেপ্তার ও জরিমানা

গরিব, শ্রমজীবী ও অসচেতন মানুষকেই করা হচ্ছে গ্রেপ্তার ও জরিমানা

বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ছাড়িয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত ১ জুলাই থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। শেষ হবে ১৪ জুলাই। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই কঠোর লকডাউনে যায় প্রশাসন৷

এরইমধ্যে ২৪ ঘণ্টায় মৃতু ২০০ ছাড়িয়েছে৷ এই পরস্থিতিতে টেকনিক্যাল কমিটি এই লকডাউনের পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে৷ তারা নতুনভাবে কার্ফু জারির সুপারিশ করেছে৷

লকডাউন কার্যকর করতে চার ধরনের আইন ব্যবহার করা হচ্ছে৷ সংক্রামক ব্যাধি আইন, মোটর যান আইন, ডিএমপি অ্যাক্ট এবং মোবাইল কোর্ট।সেনা, পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে ৫০টিরও বেশি মোবাইল কোর্ট কাজ করছে৷ আর রাজধানীর প্রবেশ পথ ছাড়াও শহর জুড়ে শতাধিক চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে৷

লকডাউনের নবম দিন পর্যন্ত নির্দেশ অমান্য করে বাইরে বের হওয়ার অভিযোগে মোট ৪ হাজার ৩৬৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে৷ আটক করা হয়েছে ৫ হাজার ৬৭৪ জনকে৷ এই সময়ে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। শতাধিক প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হয়েছে৷

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষ। তারাও আদালত থেকে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন৷ তাদেরকে আদালত সর্বোচ্চ ১০০ টাকা জরিমানা করছে৷

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আউয়াল বলেন, যাদের আটক করা হচ্ছে তাদের বড় একটি অংশ মাস্ক না পরে বিনা কারণে বাইরে বের হন৷ এতো কড়াকড়ির পরও তারা মাস্ক ব্যবহার করতে চান না৷ সব শ্রেণির মানুষের মধ্যেই এই প্রবণতা৷ তাদের কোনো ভাবেই সচেতন করা যাচ্ছে না। ডয়চে ভেলে।

এই লকডাউনে জরুরি সেবা ও রিকশা চালু আছে৷ কিন্তু যারা শ্রমজীবী মানুষ দিন আনে দিন খান তাদের কোনো উপায় নেই৷ বিশেষ করে ভাসমান মানুষ এবং দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে যারা কাজ করেন তারা অসহায় অবস্থার মধ্যে আছেন৷ আর যারা ক্ষুদ্র ও ভাসমান দেকানদার তারাও বিপাকে আছেন৷ ৩৩৩- তেও ফোন করে তারা সহায়তা পাচ্ছেন না৷ আবার অনেকে জানেনই না যে ওই নাম্বারে ফোন করলে সহায়তা পাওয়া যায়৷ তারাই মূলত কাজের জন্য বা সহায়তার জন্য বাইরে বের হয়ে জরিমানা ও গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হচ্ছেন৷

এমজে/