রাজশাহীর সেই মেয়র মুক্তারের ৪ দিনে রিমান্ড মঞ্জুর

রাজশাহীর সেই মেয়র মুক্তারের ৪ দিনে রিমান্ড মঞ্জুর

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে সন্ধ্যায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর বিচারক সাইফুল ইসলাম।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে মেয়র মুক্তার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। তার সাথে কারাগারে রয়েছেন স্ত্রী জেসমিন আক্তার, সহযোগী রাজন আহমেদ, ভাতিজা শান্ত ও সোহাগ। শনিবার থেকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ফুরফুরা শরীফ সংলগ্ন এলাকার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়ি থেকে মেয়র মুক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় রাজন নামে তার এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, মেয়র মুক্তারকে গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে বাঘার আড়ানিতে তার নিজ বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এসময় তার দেখানো মতে- চার বোতল ফেনসিডিল, এক শ’ গ্রাম গাঁজা, নগদ এক লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে কলেজ শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মজনুর করা মামলার পর মেয়রের বাড়িতে তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হয়। তার বাড়ি তল্লাশি করে একটি অবৈধ বিদেশী পিস্তল, একটি ওয়ান শ্যুটার গান, দেশে তৈরি একটি বন্দুক, একটি এয়ার রাইফেল, শটগানের ২৬ রাউন্ড গুলি, পিস্তলের চারটি ম্যাগজিন, পিস্তলের ১৭ রাউন্ড গুলি, চারটি গুলির খোসা, ১০ গ্রাম গাঁজা, সাত পুরিয়া হেরোইন, ২০ পিস ইয়াবা, নগদ ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং মেয়রের দুটি সই করা চেক জব্দ করে পুলিশ। চেকে টাকার পরিমাণ রয়েছে ১৮ লাখ। এ সময় মেয়র মুক্তারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৪০) এবং দুই ভাতিজা সোহান (২৫) ও শান্তকে (২৩) গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান মুক্তার আলী। অবশেষে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ফুরফুরা শরীফ সংলগ্ন এলাকার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়ি থেকে মেয়র মুক্তারকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

মুক্তার আলী আড়ানি পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।

এমজে/