খুলনায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে ‘লকডাউন’

খুলনায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে ‘লকডাউন’

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে নতুন করে শুরু হওয়া ‘লকডাউনে’র প্রথম দিন খুলনায় বেশ কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর থেকে সড়কে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সব বিপণিবিতানও বন্ধ।

‘লকডাউন’ সর্বাত্মকভাবে পালনের জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে।

শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল কঠোর ‘লকডাউন’ কার্যকর করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তৎপর রয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে।

‘লকডাউন’ সর্বাত্মকভাবে পালনে বাধ্য করতে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক ও মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ।

রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত সীমিত সংখ্যক যানবাহন ছাড়া তেমন যানবাহন চোখে পড়ছে না।

জনগণকে ‘লকডাউন’ মানাতে যথেষ্ট তৎপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পথে পথে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। জরুরি কাজে কেউ বের হলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, তা পালনের জন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন। ‘লকডাউনে’র নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যাদের সঙ্গে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, জেলাব্যাপী ‘লকডাউন’ কার্যকর করতে জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আমাদের সঙ্গে সব সময় রয়েছেন জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ। ‘লকডাউন’ সফল করতে জেলার নয় থানায় ২৯টি চেক পোস্ট বসানো রয়েছে। ৪১টি টহল গাড়ির টিম সমগ্র জেলায় কাজ করছে। বিনা প্রয়োজনে যেন কেউ বের না হন। আর যদি প্রয়োজনে বের হতে হয়, তাহলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে শুরু হওয়া দুই সপ্তাহব্যাপী ‘লকডাউনে’র শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকবে খুলনা জেলা পুলিশ।

এমজে/