‘সরকারী টাকা ব্যবহার করে ভোট চাওয়া অন্যায় ও অনৈতিক’

‘সরকারী টাকা ব্যবহার করে ভোট চাওয়া অন্যায় ও অনৈতিক’

ঢাকা, ২ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকারী টাকা ব্যবহার করে ভোট চাওয়া অন্যায় ও অনৈতিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বলেন ভোট চাওয়া তার রাজনৈতিক অধিকার তখন জানতে ইচ্ছে করে তিনি কি ভুলে গেছেন সভা-সমাবেশ করা বিরোধী দলের রাজনৈতিক অধিকার না? তিনি নিজের অধিকারের কথা বলেন অথচ অন্যের অধিকারের কথা ভুলে যান কেন?

সোমবার তোপখানায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘সুশাসন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র কোন পথে’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই বুদ্ধিমতী। তার পেছনে রয়েছে ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তি। এই শক্তিকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নাই। সুতরাং ভারত থেকে আমাদের সকলকে সাবধানে থাকতে হবে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে সকল শক্তির সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যমঞ্চ করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে হবে। যদি জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে জনতার স্রোত তৈরী হতে বাধ্য। আর জনতার স্রোত তৈরী হলে আগামী নির্বাচন যেভাবেই হোক ফল উল্টে যেতে বাধ্য।

তিনি বলেন, আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ কোন এক দল বা এক ব্যক্তির অবদান নয়। এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যার যে অবদান তাকে তার স্বীকৃতি দিতে হবে। তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে। যারা বলেন জিয়াউর রহমানকে তারা চিনেন না, মুক্তিযুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণ ও অবদান প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের মনে রাখা উচিত ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পর জাতি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকেই চিনতো তাদের নয়।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একমাত্র দাবিদার সরকার যখন শহীদদের তালিকা প্রনয়ণ করতে পারে নাই, তখন আর তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করা ঠিক না। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবহার করে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা ঘুষ আর দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে।

বিশেষ অথিতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। সরকার মনে করছে শুধু তাদেরই সময়। কিন্তু, তারা ভুলে গেছে সময় কখন কার আসে কেউ বলতে পারে না। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও গতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে এটা অত্যান্ত দুঃখজনক।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কারান্তরীণ থাকা নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনগণ এতে বিভ্রান্ত নয়। সরকারকে মনে রাখতে হবে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা হবে। বিগম জিয়াই হচ্ছেন গণতন্ত্রের প্রতীক।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পলেই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সরকার গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে যা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য শুভ হবে না। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র যখন নিয়ন্ত্রিত তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও পদদলীত।

লেবার পার্টি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দল চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, দেশবাচাও মানুষ বাচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, লেবার পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, আলহাজ্ব মাহমুদ খান, হিন্দু রত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, উপদেষ্টা জাহিদ আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মহসিন ভুইয়া, আহসান হাবিব ইমরোজ, আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন, ছাত্র মিশন সভাপতি কামরুল ইসলাম সুরুজ প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৪০ঘ.)