দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সম্পদের হিসাব দিতে হবে

দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সম্পদের হিসাব দিতে হবে

সরকারি চাকরিজীবীসহ যেকোনো ব্যক্তির সম্পদ খতিয়ে দেখতে পারেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। অবৈধ সম্পদ পেলে মামলা, জেল, সম্পদ বাজেয়াপ্তও হয়।

কিন্তু যারা সম্পদের অনুসন্ধান করেন তাদেরটা খতিয়ে দেখবে কে? এমন প্রশ্ন উঠে হরহামেশাই। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ জানিয়েছেন স্বচ্ছতার জন্য এখন থেকে সংস্থাটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে।

চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ বছর পরপর সব সরকারি চাকরিজীবীকে তার নিয়োগ কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদের হিসাব দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের অনেক কর্মচারী এ নিয়ম মানেন না।

বিধিমালা মানতে সম্প্রতি সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

দুদকের অনুসন্ধান এবং তদন্তের জালে থাকা বেশিরভাগই সরকারি চাকরিজীবী। গত দশ বছরে দেড় হাজারের বেশি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী দুর্নীতি মামলার আসামি হয়েছেন। যাদের প্রায় অর্ধেকের বিরুদ্ধেই অবৈধ সম্পদের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলছেন, সরকারি চাকরিজীবীরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সম্পদের হিসাব দিলে তাদের অনুসন্ধান-তদন্তের সুবিধা হবে।

প্রশ্ন থাকে, যে প্রতিষ্ঠান মানুষের সম্পদ খতিয়ে দেখে সে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ দেখবে কে?

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক মনে করেন, দুদকের সবাই ধোয়া তুলসি পাতা নন তাই স্বচ্ছতার স্বার্থে আগে তাদের সম্পদের হিসাব দেয়া উচিত।

দুদক চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে জানান, জবাবদিহিতার জন্য এখন থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নেয়া হবে।

চলতি বছর মার্চে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়ে মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, নিজ প্রতিষ্ঠানে আগে স্বচ্ছতা আনার কথা।

এমজে/