করোনায় ৫৪ দিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু  

করোনায় ৫৪ দিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু   

 

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ হাজার ৩৯৯ জনে। এটি গত ৫৪ দিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু। এর আগে গত ৩০ জুন ১১৫ জনের মৃত্যু হয়।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৩ জন ও নারী ৬৪ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৯৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৭ জন ও বাসায় তিনজন মারা যান।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও পাঁচ হাজার ৭১৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৫ জনে।

সোমবার (২৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৭৩৩টি ল্যাবরেটরিতে ৩৭ হাজার ৩১৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৬ হাজার ৭৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৬টি।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হিসেবে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার হিসেবে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আট হাজার ৯৮২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক শূন্য ৫৪ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১৭ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব একজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৪১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২১ জন, আশি-ঊর্ধ্ব নয়জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী তিনজন রয়েছেন।

বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রামে ২৯ জন, রাজশাহীতে ১০ জন, খুলনায় ১১ জন, বরিশালে একজন, সিলেটে ১৩ জন, রংপুরে নয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।