সিনহা হত্যা মামলা

কাঠগড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বললেন ওসি প্রদীপ

কাঠগড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বললেন ওসি প্রদীপ

আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ শুনানির সময় কাঠগড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন।

সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার প্রথম দিনের সাক্ষ্য নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। তখনকার একটি ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস তার ভাইকে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন আদালতে। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন অভিযুক্ত ১৫ জন। তাদের মধ্যে প্রদীপ দুপুর ১২টার দিকে কাঠগড়ায় নিচু হয়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তার অদূরেই দাঁড়িয়েছিলেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক সদস্য। তবে তিনি প্রদীপকে কথা বলতে বাধা দেননি। আর কাঠগড়ার পাশে পুলিশ সদস্যদের জন্য দুটি চেয়ার বরাদ্দ থাকলেও সেখানে কাউকে বসতে দেখা যায়নি।

এদিকে প্রদীপকে মোবাইল ফোনটি কে দিয়েছেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ কনস্টেবল তা সরবরাহ করেন।

আদালতের ভেতরের একটি ছবিতে দেখা যায়, কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন প্রদীপ। এ সময় তার আশেপাশে কয়েকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রদীপ মোবাইল ফোনে একের পর এক কল করে কথা বলেছেন। তখন তার পরনে ছিল কালো পোলো শার্ট।

সংশ্নিষ্টরা জানান, আদালতের আচরণবিধি অনুযায়ী, আদালত চলাকালে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে হবে। অর্থাৎ মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।

এদিকে মঙ্গলবার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিনে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে প্রদীপের ছবি তোলেন সাংবাদিকরা। তখন তিনি বিরক্তি নিয়ে বলেন, 'আমাকে নতুন করে চেনানোর দরকার নেই।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি ও রামুতে একটি) মামলা করে। পুলিশের মামলায় সিনহার সঙ্গে থাকা সাহিদুল ইসলাম সিফাতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্ট থেকে তার দুই সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকেও আটক করা হয়। নুরকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।