চার বছরে মিয়ানমারে ফেরানো যায়নি একজন রোহিঙ্গাকেও

চার বছরে মিয়ানমারে ফেরানো যায়নি একজন রোহিঙ্গাকেও

চার বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরানো যায়নি মিয়ানমারে; দায়িত্ব নিতে হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, বলছে সরকার।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ৪ বছর আজ। এই সময়ে একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যায়নি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলছেন, এই দায় বাংলাদেশের নয়। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন এই দায়িত্ব নিতে হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে। আর কূটনীতি বিশ্লেষকের মতে, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে- বাংলাদেশের এই অবস্থান থেকে সরা উচিত হবে না।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হয় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে লাখে লাখে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসা। ২০১৮ আর ২০১৯ সালে দফায় দফায় ভেস্তে যায় তাদেরকে ফেরানোর সব কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে গাম্বিয়া। চীনের নেয়া ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্যোগেও কোনও হেরফের হয়নি অবস্থার।

এরমধ্যেই কিছু রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ভাসানচরে। আর গতবছর মিয়ানমারে ফের ক্ষমতায় আসে জান্তা সরকার। সব মিলিয়ে থমকে আছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া।

এর দায় কোনোমতেই বাংলাদেশের নয় বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের একটা ব্যর্থতা অবশ্যই আছে। এ ব্যাপারে আমরা একদমই পরিষ্কার। আমরা মনে করি তারাও এই ইস্যুটা নিয়ে লজ্জিত।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গত চার বছরে রাখাইনে কোন ধরনের ঝামেলা হয়নি, মোটামুটি শান্ত আছে। রাখাইনে পরিস্থিতি এখন অনেক শান্ত। এখনই সময় তাদের ফিরে যাওয়ার।

আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, সরকারকে জানতে হবে কখন কিভাবে তৎপরতা বাড়াতে হবে। মিয়ানমারে এখন জান্তা সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তা দুর্বল সরকার। বাংলাদেশের উচিত আন্তজার্তিক সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে আরো বেশি চাপ তৈরি করা। এখন কিন্তু এ বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান করাটা সহজ হবে।

এবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী সশরীরে অংশ নিলে এই ইস্যু আবারও গুরুত্ব পাবে বলে মনে করেন তিনি।

এমজে/