দেশের মানুষের একটা বদভ্যাসও আছে, সংসদে হাসিনা

দেশের মানুষের একটা বদভ্যাসও আছে, সংসদে হাসিনা

সরকারের উন্নয়নের সাফাই গাইতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের মানুষের একটা বদভ্যাসও আছে। কথায় কথায় হতাশ হওয়া। যতই কাজ করি, তারপরও বলে এটা হলো না কেন? ওটা হলো না কেন? আমি বলতে চাই, এসব না করে আগে কী ছিল আর এখন কী হয়েছে, সেটা দেখলে তো হয়ে যায়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি মিডিয়া বা টক শো দেখে দেশ পরিচালনা করেন না। তিনি দেশ পরিচালনা করেন অন্তর থেকে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে তিনি দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, এগিয়ে নেবেন।

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিডিয়া কী লিখল আর টক শোতে কী বলল, সেটা শুনে আমি কখনো দেশ পরিচালনা করি না। দেশ পরিচালনা করি আমার অন্তর থেকে। কারণ, আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন। দরিদ্র মানুষের জন্য তিনি বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। সেই মানুষগুলোর জন্য কী কাজ করতে হবে, সেটা আমি বাবা-মায়ের থেকে শিখেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দারিদ্র্য ৪০ ভাগ ছিল ২০ ভাগে নামিয়েছে। করোনায় কিছু মানুষ কাজ পাচ্ছে না। কিন্তু একেবারে না খেয়ে কেউ নেই। দারিদ্র্যের হার বাড়তে পারে, কিন্তু ২০ ভাগ থেকে ৪০ ভাগ হয়ে গেছে এটা ঠিক না। তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও রেমিট্যান্স বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। গড় আয়ু বেড়েছে। বিএনপির সময় রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আজকে ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ।

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। বিশ্বব্যাংক বা কেউ এখানে দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারেনি। এখন পদ্মা সেতু দৃশ্যমান, মেট্রোরেল দৃশ্যমান। ঢাকাজুড়ে মেট্রোরেল ও যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে বলছেন স্বাস্থ্য খাত একেবারে শেষ হয়ে গেছে। আগের সঙ্গে তুলনা করলেই হয়। দেশের অনেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যেতেন। করোনার কারণে অনেকে এবার যেতে পারেননি। দেশে চিকিৎসা করতে হয়েছে। দেশে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল দেখে তাদের চক্ষু চড়কগাছ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই যাতে করোনার টিকা পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনের কোনো সমস্যা নেই। ২৪ কোটি ডোজ টিকা কেনা হবে। টিকা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। দেশেও টিকা উৎপাদন করা হবে।