গুলশান থানায় নেওয়া হলো রাসেল দম্পতিকে

গুলশান থানায় নেওয়া হলো রাসেল দম্পতিকে

অনলাইনে পণ্য সরবরাহকারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলকে র‌্যাব সদর দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রাসেল দম্পতিকে র‍্যাবের সাদা প্রাইভেটকারে করে গুলশান থানায় আনা হয়। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় র‍্যাব সদস্যরা গ্রেফতারদের নিয়ে গুলশান থানার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এদিন দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনলাইনে পণ্য সরবরাহকারী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল পদাধিকারবলে নিজেরা মাসিক ৫ লাখ টাকা করে বেতন নিতেন। তারা কোম্পানির অর্থে ব্যক্তিগত দুটি দামি গাড়ি (রেঞ্জ রোভার ও অডি) ব্যবহার করেন।

তিনি বলেন, ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গেটওয়েতে ৩০-৩৫ কোটি গ্রাহকের টাকা আটক হয়ে আছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‍্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, রাসেল ২০০৭ সালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং পরবর্তীতে ২০১৩ সালে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। ২০১১ সালে ব্যাংকিং সেক্টরে চাকরি শুরু করেন। প্রায় ৬ বছর চাকরির পর ২০১৭ সালে ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে প্রায় এক বছর শিশুদের ব্যবহার্য একটি আইটেম নিয়ে ব্যবসা করেন এবং পরে তিনি ওই ব্যবসা বিক্রি করে দেন। ২০১৮ সালে আগের ব্যবসালব্ধ অর্থ দিয়ে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। কোম্পানিটির তিনি একাধারে এমডি ও সিইও এবং তার স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হন।

এমজে/