র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, সাভারে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে।
তবে তার কম্পানি হাজার কোটি টাকার দেনায় ডুবে আছে। এসব দেনা কি করে পরিশোধ করবেন তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রাসেল।
র্যাব কমান্ডার আরো জানিয়েছে, ইভ্যালি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল সিইও রাসেলের।
শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছে, বিদেশি একটি ই-কমার্সের কৌশল ১:২ আলোকে প্রথম তিনি তার ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম তিনি একটি ব্র্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। পরবর্তীতে কোনো আন্তর্জাতিক বা দেশীয় বড় প্রতিষ্ঠানে তার কম্পানি দায়সহ বিক্রি করে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা ছিল তার। একইভাবে ৩ বছর পূর্ণ হলেই শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভূক্তি হওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। সর্বশেষ দায় মেটাতে না পারলে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার একটি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।
র্যাবের কাছে রাসেল তার ব্যবসায়িক অপকৌশলের কথা স্বীকার করেন।
র্যাব জানায়, রাসেলের ব্যবসায়িক অপকৌশলের মধ্যে অন্যতম হলো - নতুন গ্রাহকের ওপর দায় চাপিয়ে পুরাতন গ্রাহকদের আংশিক আংশিক অর্থ বা পণ্য ফেরত দেওয়া। যার তার এই দায় ট্রান্সফারের দূরভীসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে তিনি এভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হয় তার দায় ততই বাড়তে থাকে। রাসেল জেনেশুনেই এই অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
র্যাব জানায়, ইভ্যালি ছাড়াও রাসেলের আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ই-ফুড, ই-খাত ও ই-বাজার অন্যতম।
ইভ্যালির ব্যবসায়িক কাঠামোর বিষয়ে রাসেল জানান, রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ইভ্যালির হেড অফিস এবং ধানমণ্ডির আরেকটি স্থানে এর কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রয়েছে। একইভাবে আমিন বাজার ও সাভারে তাদের ওয়ার হাউজ চালু করা হয়। কম্পানির শুরুর দিকে প্রায় ২০০০ স্টাফ কর্মরত ছিলেন এবং অস্থায়ীভাবে ১৭০০ জন লোক কর্মরত ছিলেন। সেই সংখ্যা কমে বর্তমানে ১৩০০ স্টাফ ও ৫০০ অস্থায়ী কর্মচারীতে দাঁড়িয়েছে।
সবমিলিয়ে কর্মচারীদের প্রাথমিক বেতন ছিল ৫ কোটির টাকার কিছু বেশি। যা বর্তমানে দেড় কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। গত জুন থেকে এ পর্যন্ত কর্মীদের অনেককেই বেতন দিতে সক্ষম হননি রাসেল।
রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন পদাতিধীকার বলে মাসে ৫ লাখ টাকা বেতন নিতেন। তিনি ও তার স্ত্রী ইভ্যালি থেকে কেনা একটি অডি গাড়ি, রেঞ্জ রোভার নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতেন। তাদের কম্পানিতে ২৫-৩০টি গাড়ি রয়েছে।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব সদরদফতরে নেওয়া হয়। ওই মামলায় রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব।
কমান্ডার আরো জানিয়েছে, ইভ্যালি নানা প্রলোভনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল সিইও রাসেলের।
শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছে, বিদেশি একটি ই-কমার্সের কৌশল ১:২ আলোকে প্রথম তিনি তার ইভ্যালির কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম তিনি একটি ব্র্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। পরবর্তীতে কোনো আন্তর্জাতিক বা দেশীয় বড় প্রতিষ্ঠানে তার কম্পানি দায়সহ বিক্রি করে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা ছিল তার। একইভাবে ৩ বছর পূর্ণ হলেই শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভূক্তি হওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। সর্বশেষ দায় মেটাতে না পারলে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করার একটি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।
র্যাবের কাছে রাসেল তার ব্যবসায়িক অপকৌশলের কথা স্বীকার করেন।
র্যাব জানায়, রাসেলের ব্যবসায়িক অপকৌশলের মধ্যে অন্যতম হলো - নতুন গ্রাহকের ওপর দায় চাপিয়ে পুরাতন গ্রাহকদের আংশিক আংশিক অর্থ বা পণ্য ফেরত দেওয়া। যার তার এই দায় ট্রান্সফারের দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে তিনি এভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে যত গ্রাহক তৈরি হয় তার দায় ততই বাড়তে থাকে। রাসেল জেনেশুনেই এই অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
র্যাব জানায়, ইভ্যালি ছাড়াও রাসেলের আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে ই-ফুড, ই-খাত ও ই-বাজার অন্যতম।
ইভ্যালির ব্যবসায়িক কাঠামোর বিষয়ে রাসেল জানান, রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ইভ্যালির হেড অফিস এবং ধানমণ্ডির আরেকটি স্থানে এর কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রয়েছে। একইভাবে আমিন বাজার ও সাভারে তাদের ওয়ার হাউজ চালু করা হয়। কম্পানির শুরুর দিকে প্রায় ২০০০ স্টাফ কর্মরত ছিলেন এবং অস্থায়ীভাবে ১৭০০ জন লোক কর্মরত ছিলেন। সেই সংখ্যা কমে বর্তমানে ১৩০০ স্টাফ ও ৫০০ অস্থায়ী কর্মচারীতে দাঁড়িয়েছে।
সবমিলিয়ে কর্মচারীদের প্রাথমিক বেতন ছিল ৫ কোটির টাকার কিছু বেশি। যা বর্তমানে দেড় কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। গত জুন থেকে এ পর্যন্ত কর্মীদের অনেককেই বেতন দিতে সক্ষম হননি রাসেল।
রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন পদাধিকার বলে মাসে ৫ লাখ টাকা বেতন নিতেন। তিনি ও তার স্ত্রী ইভ্যালি থেকে কেনা একটি অডি গাড়ি, রেঞ্জ রোভার নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতেন। তাদের কম্পানিতে ২৫-৩০টি গাড়ি রয়েছে।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব সদরদফতরে নেওয়া হয়। ওই মামলায় রাসেল দম্পতিকে গ্রেফতার দেখায় র্যাব।
এমজে/
